শারীরিক সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে দেখে এসে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মেয়ে মাহমুদা খানম ভাসানী। এ সময় ভাসানী পরিবারের অন্য সদস্যরা তার সঙ্গে ছিলেন।
মাহমুদা খানম বলেন, ‘বেগম জিয়া কথা বলতে পারছেন, তবে খুব ধীরে ধীরে। তিনি খুবই দুর্বল। তার সাথে কথা হয়েছে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাকে বিদেশে পাঠিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জোর দাবি জানাই।’
মওলানা ভাসানীর নাতি হাবিব হাসান মনার বলেন, ‘আমরা বেগম জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলাম। তার ডাক্তাররা বলেছেন, বেগম জিয়ার অবস্থা খারাপ।’
মওলানা ভাসানীর আরেক নাতি মাহমুদুল হক শানু বলেন, ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী আজীবন মজলুমের পক্ষে লড়াই করেছেন। যেখানে অন্যায়, সেখানেই তিনি ছিলেন প্রতিবাদী কণ্ঠ। পাকিস্তান সরকারের ফাঁসির দড়ি থেকে তিনি যেমনভাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, তেমনই দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে নিপীড়নের হাত থেকেও তিনি রক্ষা করেছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য মওলানা ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওযা ভাসানীর পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন—ভাসানীর বড় মেয়ে রিজিয়া ভাসানী ও নাতনি সুরাইয়া সুলতানা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।