ঠাকুরগাঁওয়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে পালিত হল হিন্দু ধর্মালম্বীদের বাসন্তী পুজা।
গত (৭ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার দেবীর আমন্ত্রণ অধিবাস এরপর ৮ (এপ্রিল) সকালে কলাবউ স্থাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় সপ্তমী বিহিত পূজা।
শহরের গোবিন্দ জিউ মন্দিরে এ পুজার আয়োজন করা হয়। পুজা উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গনে বসেছিল গ্রামীনমেলা।
গোবিন্দনগর মন্দিরের পুরোহিত সাধন চক্রবর্তী জানান ৩৯ বছর ধরে এ মন্দিরে মা বাসন্তীর পূজা হয়ে আসছে। তাছাড়াও এই মন্দিরে বাসন্তী পুজা, দূর্গা পুজা, সহ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
পূজা পরিচালনা কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার দে বলেছেন আমাদের এখানে ধর্ম-বর্ণ-নর্বিশেষে সকলেই একসাথে এই বাসন্তী মায়ের পূজা অংশগ্রহণ করেছে ।
যেহুতু করোনাকালীন সময়ে দু’বছর ঠিকমতো পূজা হয়নি তাই এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে উৎসবমুখর পরিবেশে এই বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আর শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় আমরা সকলে আনন্দিত।
এদিকে মহা দশমী বাসন্তী মায়ের বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় বেলায় মন্দির প্রাঙ্গণে বিবাহিত হিন্দু নারীরা দেবীর কপাল ও পায়ের ওপর সিঁদুর দান করে দেবীকে মিষ্টি মিষ্টিমুখ করান।পরে একে অপরকে সিঁদুর মাখিয়ে দেন।
এরপর সদবা নারীরা সিঁদুরের স্থায়িত্ব অর্থাৎ স্বামীর দীর্ঘজীবন কামনায় সিঁদুর খেলায় মেতে উঠে।
ভক্তদের মতে মা দুর্গা অশুভ শক্তির ধ্বংস করতে এই ধরায় এসেছিলেন। ৫ দিন মর্তধাম থেকে কৈলাস ধামে ফিরে গেলেন।
প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাসন্তী পূজার দশমী দিনে রংবে রঙের সাজে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী ও পুরুষেরা।
উল্লেখ্য, গত ৭ এপ্রিল পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে পরে ১১ (এপ্রিল) সোমবার এপ্রিল শহরের টাঙ্গন নদী তে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ উৎসব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।