তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে আজ রবিবার ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১১ গ্রামের মানুষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারী উপজেলার কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা ও দুটি ঈদ উৎসব পালন করে থাকেন। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে এসব এলাকার লোকজন ঈদ উদযাপন করেন। এছাড়া আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়নের ধলেরচর গ্রামের কিছু মানুষ একই সাথে ঈদ উদযাপন করেছেন। একদিন আগে যারা রোজা, ঈদুল ফিতর উৎসব ও ঈদুল আযহা উদযাপন করেন তাঁরা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান। সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে এসব ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ৪টি জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ১০টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে জামায়াত শেষ হয়েছে। তবে যারা সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজ পড়তে এসেছেন তাদের সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন মসজিদ কমিটি। সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজে ইমামতি করেছেন ধলেরচর দরবার শরীফের পীর সাহেব মুফতি মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান।
আজ রবিবার সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজ আদায়কারী আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারীর কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক জানান, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমরা, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের আংশিক এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধলেরচর গ্রামের কিছু লোকজন একদিন আগে রোজা ও দুইটি ঈদ পালন করে থাকেন।
সহস্রাইল দায়রা শরিফ নামাজ আদায় করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলেরচর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কার জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আমরা আগে আলফাডাঙ্গার তিনগ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে ধলেরচর মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করতাম। আমাদের ইমাম অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মারা যাওয়ার পর থেকে এখানে আর জামায়াত হয় না। আমরা ধলেরচর গ্রামের কিছু লোকজন বোয়ালমারীর সহস্রাইল এসে নামাজ আদায় করেছি।