মুসল্লিদের সুবিধার্থে এখন প্রায় সব মসজিদে লাগানো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। মুসল্লিরা যেন আরামে নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য দামি ও আরামদায়ক কার্পেটসহ আরও অনেক ব্যবস্থা রাখা হয়।
তবে সৌদি আরবের দাম্মামে রয়েছে ভিন্ন ধাঁচের এক মসজিদ। যেখানে যদি কোনো মুসল্লির নামাজ আদায়ের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাপড়ের প্রয়োজন হয়— তাহলে সেটি দেওয়া হয়। এছাড়া মসজিদে নামাজের জন্য আগত মুসল্লিদের দেওয়া হয় সুগন্ধিযুক্ত পারফিউম।
সৌদির টেলিভিশন চ্যানেল আল এখবারিয়ার এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে ৪০ বছর পুরোনো সেই মসজিদটির এমন আয়োজনের কথা। এটির নাম আমর বিন আল জামে মসজিদ। আল হুকাইল নামে মসজিদের এক খাদেম আল এখবারিয়াকে বলেছেন, ‘প্রথম দেখায় মনে হবে মসজিদটি নতুন। কিন্তু এই মসজিদটি ৪০ বছরে পুরোনো এবং সময়ের সাথে এটি আরও উন্নত হয়েছে।
মসজিদে সাধারণত যেসব সমস্যা থাকে আমরা সেগুলোর অনেকগুলোর সমাধান করতে সমর্থ হয়েছি। টয়লেটের কাছ থেকে ওযুখানাটি পৃথক করা হয়েছে।’এই মসজিদটির বাইরেই শুধুমাত্র পাখিদের জন্য একটি বাগান তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি অব্যবহৃত স্থান ছিল যেটি পরবর্তীতে পাখিদের বাগানে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
মসজিদটিতে জানালা রয়েছে, যেগুলো দিয়ে নামাজ শেষে মুসল্লিরা বাগানের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারেন। আর এ বিষয়টি মসজিদের ভেতর অসাধারণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন ওই খাদেম। নামাজের জন্য মুসল্লিদের কাপড় দেওয়ার ব্যাপারে এই খাদেম জানিয়েছেন, নামাজ পড়ার জন্য যেসব কাপড় দেওয়া হয় সেগুলো অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করা যায়।
কাপড় দেওয়া হয় কারণ অনেক মুসল্লি তপ্ত রোদে কাজ থেকে বা ব্যায়াম করে এসে নামাজে আসতে পারেন। যেগুলো ঘর্মাক্ত থাকতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘এসব কাপড় সবসময় ড্রাই ক্লিন এবং জীবাণুমুক্ত করা হয়। মসজিদ পরিষ্কার রাখার একটি উপায় হলো এটি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।