আদম (আ.)-এর সন্তানদের মধ্যে শিস (আ.) ছিলেন অন্যতম। আদম (আ.)-এর ইন্তেকালের পর শিস (আ.) নবী হন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া : ১/৯১)

শিস (আ.)-এর মুজিজাগুলোর মধ্যে প্রসিদ্ধ মুজিজা হলো তার দোয়ার মাধ্যমে দুনিয়াতেই জান্নাতের ফল প্রাপ্তি এবং জান্নাতি হুরের আগমন।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে আদম (আ.) তার অন্তিম শয্যায় ছেলেদের কাছে জান্নাতি ফল খাওয়ার আবদার করেন। পিতার আবদার বাস্তবায়নের জন্য সন্তানরা দিগ্বিদিক ছুটতে লাগল। কিন্তু জান্নাতি ফল লাভে ব্যর্থ হয়ে সবাই ফিরে এলেন। আদম (আ.)-এর নির্দেশে শিস (আ.) আল্লাহর কাছে জান্নাতি ফল চেয়ে দোয়া করেন।

দোয়া কবুল হয়, জিবরাঈল (আ.) খাঞ্চাপূর্ণ বেহেশতি ফলমূল অপূর্ব সুন্দরী একজন বেহেশতি ‘হুর’-এর মাথায় চেপে দিয়ে আদম (আ.)-এর সম্মুখে হাজির হন।

বস্তুত আদম (আ.)-এর এই আবদার ও তা পূরণের এই অলৌকিক ঘটনা ছিল তাঁর পরবর্তী নবী শিস (আ.)-এর নবুয়তের অভিষেকস্বরূপ, যাতে তাঁর অন্য সন্তানরা তাঁর মৃত্যুর পর শিস (আ.)-কে বিনা দ্বিধায় নবী হিসেবে মেনে নিতে পারে।

(তথ্যসূত্র : গোলাম নবী কুমিল্লায়ী অনূদিত : উর্দু কাসাসুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠা ২০-২১; সিরাত বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ : ১১/১৫৪)