পাপমুক্ত জীবন গঠন ও আল্লাহর নৈকট্য লাভে তাওবার কোনো বিকল্প নেই।

১. আল্লাহই ক্ষমাকারী : যত পাপই হোক না কেন, আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করবেন। কেননা তিনি অতিশয় দয়ালু। ইরশাদ হয়েছে, ‘কিন্তু যারা তাওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে আর সত্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে, এরাই তারা যাদের তাওবা আমি কবুল করি, আমি অতিশয় তাওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৬০)

২. আল্লাহ ক্ষমা করতে ভালোবাসেন : আল্লাহ অনুতপ্ত বান্দাকে ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করতে চান। আর যারা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে তারা চায় যে তোমরা ভীষণভাবে পথচ্যুত হও।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ২৭)

৩. আল্লাহ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন : যারা পূতঃপবিত্র জীবনযাপন করে এবং পাপ থেকে তাওবা করে আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীদের ভালোবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরকে ভালোবাসেন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২২)

৪. পাপ পরিহার আবশ্যক : তাওবা কবুলের জন্য পাপ পরিহার করা আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা তাওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, তবে তা থেকে নিবৃত্ত থাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম তাওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৬)

৫. মৃত্যু আসার আগে তাওবা : মৃত্যুর সময় উপস্থিত হওয়ার আগেই তাওবা করতে হবে। নতুবা আল্লাহর দরবারে তাওবা কবুল হবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাওবা তাদের জন্য নয়, যারা আজীবন মন্দ কাজ করে, অবশেষে তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলে সে বলে, আমি এখন তাওবা করছি। আর তাদের জন্যও নয়, যাদের মৃত্যু হয় অবিশ্বাসী অবস্থায়। এরাই তারা, যাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তির ব্যবস্থা আছে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮)