বেজেছে বিদায়ের সুর। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আজ থেকে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর দেবী দুর্গার আবাহন বা মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবী পক্ষের শুরু হয়। আর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ১ অক্টোবর শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। এরপর হাসি-আনন্দ আর পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে কেটে গেছে চারটি দিন।
আজ সকালে দশমী বিহিত পূজা শেষে দর্পণ-বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। আর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়েই শেষ হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) মহানবমীতে উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপ ও মন্দিরে দেবীর বন্দনায় ছিল বিষাদের সুর। ঢাকঢোল, কাঁসর ঘণ্টাসহ বিভিন্ন বাদ্যে দেবীর বিদায়ের সুরই শোনা গেছে।
জানা গেছে,এর আগে খানসামা উপজেলায় ১৪৮ টি মন্ডবে দুর্গাপূজা হয়েছিল কিন্তু এ বছর ১৪৭ টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে,উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া কুমারপাড়া নামক একটি এলাকায় গত ২৯ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধ্যার দিকে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধান ক্ষেতে দুই কন্যা সন্তানের জননী অপো রানী রায় (২৩) কে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়।
আর সেই হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে পরপর তিনবার মানববন্ধন করে উপজেলার সচেতন নাগরিক ও এলাকাবাসীগণ। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রশাসন হত্যাকারীদের বিচার করতে সক্ষম হয়নি বলেই ওই এলাকার কুমারপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপের ভক্তবৃন্দ ও এলাাবাসীরা পূজা বর্জন করেছে শুধু তাই নয় তারা ষষ্ঠীপূজার দিনে মন্ডবে কালো পতাকা উত্তোলন করে শোক পালন করেছেন বলা জানা গেছে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার দেবী মর্ত্যে এসেছেন গজে (হাতিতে) চেপে। গজে চড়ে দেবীর আগমনের অর্থ হলো শুভ। মনে করা হয়ে থাকে, দেবী যদি গজে চড়ে মর্ত্যে আসেন তাহলে তিনি সঙ্গে করে সুখ, সমৃদ্ধি নিয়ে আসেন।
হাতি হচ্ছে জ্ঞান ও সমৃদ্ধির প্রতীক। আর আজ বিজয়া দশমীতে দেবী মর্ত্য ছাড়বেন নৌকায় চড়ে। নৌকায় চড়ে মত্য ছাড়লে ভক্তের মনোবাসনা পূর্ণ হবে। পৃথিবী হয়ে ওঠে শস্য শ্যামলা। কিন্তু সেই সঙ্গে অতি বর্ষণ বা প্লাবনের আশঙ্কাও দেখা দেবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।