টাচস্ক্রিন অক্ষত রেখে কি স্মার্টফোনে একটি ফিজিক্যাল কিবোর্ড রাখা সম্ভব? সম্ভব হলেও এটি কোন প্রক্রিয়ায় এবং কীভাবে বাস্তবে ব্যবহারযোগ্য হবে– এমন প্রশ্নের উত্তর মিলছে এবার।
কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি (সিএমইউ) থেকে ফিউচার ইন্টারফেস গ্রুপ (এফআইজি) সম্প্রতি স্মার্টফোনের ব্যবহার আরও আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে ‘ইনফ্ল্যাটেবল কিবোর্ড’ (বায়ু দ্বারা স্ফীত কিবোর্ড) প্রযুক্তির ধারণা দিয়েছে।
গবেষকরা দেখিয়েছেন, একটি ওএলইডি স্ক্রিনে ইনফ্ল্যাটেবল তথা বায়ুভর্তি তলসমৃদ্ধ বাটনের মাধ্যমে এ ধরনের একটি কিবোর্ড রাখা যেতে পারে। এ ধরনের প্রযুক্তিকে ফ্ল্যাট প্যানেল হ্যাপটিকস বলা হয়। এটি গত ১৫ বছর ধরে সিএমইউ এটি নিয়ে কাজ করছে।
এ প্রযুক্তির নতুন অগ্রগতি হলো, এফআইজি একটি এমবেডেড ইলেক্ট্রো-অসমোটিক পাম্প বা ইইওপিএস তৈরির মাধ্যমে পাঁচ মিলিমিটার পুরু ফ্ল্যাট প্যানেল হ্যাপটিকস বোর্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। ডেমো ভিডিও অনুসারে, ইইওপিএসের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালিয়ে একটি বিশেষ পাম্পিং তরলকে ম্যানিপুলেট করতে পারে।
পাম্পগুলো নিচে এই তরলটির একটি জলাধার এবং ওপরে একটি নমনীয় পৃষ্ঠের মধ্যে বসে। স্ট্যাকের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চালানো পাম্পগুলোকে পাঁচ মিলিমিটার উচ্চতা পর্যন্ত ওপরে একটি শক্ত বোতাম ইনফ্ল্যাট বা স্ফীত করে। ফলে একটি দৃশ্যমান কিবোর্ড তৈরি হয়। এফআইজি সম্প্রতি এক প্রকাশনার মাধ্যমে এই প্রযুক্তিটির বিশদ জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রোটোটাইপগুলোতে সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে নরম সিলিকন ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও বর্তমান এএমওএলইডি স্ক্রিনগুলো সেই সিলিকনের মতো নমনীয় নয়। নতুন এ স্ফীত বাটনগুলো ব্যবহারকারীর নির্দেশমতো বেরিয়ে আসতে সক্ষম। আবার দরকার না হলে ফিরে যেতে পারে।
ইনফ্ল্যাটেবল কিবোর্ডের মতো এমন নতুন প্রযুক্তির সংযোজন ভবিষ্যতের স্মার্টফোনের ধারণায় নতুন পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রযুক্তি অন্ধ ব্যক্তিদের জন্য স্মার্টফোন আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে সাহায্য করবে। এ প্রযুক্তির সংযোজন মোবাইল গেমিংকেও আকর্ষণীয় করবে। কারণ গেমাররা বাটনগুলোর মাধ্যমে শারীরিক প্রতিক্রিয়া পেতে সক্ষম হবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।