সূর্যতে ঝড় শুরু হয়ে গেছে। এর ফলে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) পৃথিবীতে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন, স্যাটেলাইট সংযোগ ও সার্বিক যোগাযোগের ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের আওতাধীন স্পেস ওয়েদার প্রেডিক্টশন সেন্টার। সংস্থাটি জানিয়েছে, সৌরঝড়ের কারণে পৃথিবীতে রোববার আকাশে অদ্ভুদ সুন্দর অরোরাও দেখা যেতে পারে।
তবে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন, স্যাটেলাইট সংযোগ ও সার্বিক যোগাযোগের ব্যবস্থাও গতিগ্রস্ত হতে পারে। খবর এনডিটিভি। এবারের ঝড়টিকে মাঝারি মাত্রার (জি-১) উল্লেখ করে সংস্থাটি জানিয়েছে, সূর্যের তীব্র বাতাসের ঘূর্ণিতে আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে পৃথিবী।
এতে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। বিশ্ব বর্তমানে এমন সব বৃহতাকারের সৌর ঝড় মোকাবিলা করতে প্রস্তুত নয়। এই ঝড়ের কারণে সমুদ্রের তলার অপটিক ফাইবার বন্ধ হয়ে গিয়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
সৌরঝড়ের জেরে স্যাটেলাইট তরঙ্গ বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে জিপিএস এবং মোবাইল তরঙ্গ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এর আগে ১৯৮৯ সালে সৌরঝড় আক্রান্ত করেছিল পৃথিবীকে।
এর ফলে কানাডা প্রায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল। এই পরিস্থিতিতে নয়া সৌর ঝড়ের প্রভাব নিয়ে আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা। গত বেশ কয়েক মাস ধরে সূর্যের মধ্যে অস্থিরতা পর্যবেক্ষণ করছেন। ২০২০ সালে সূর্য এর ১১ বছরের নতুন সাইকেল শুরু করে।
এই সাইকেল ২০২৫ সালে চরম পর্যায়ে পৌঁছবে। এই অবস্থায় সৌর ঝড়ের চোখ রাঙানি থাকবে পৃথিবীর ওপর। বিশ্বের উপর শেষবার বড় আকারের সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল ১৭ বছর আগে। তখন প্রযুক্তি এতটাও উন্নত ছিল না। আর মানুষও এতটা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল ছিল না। তাই তখন এর প্রভাব নিয়ে বেশি আলোচনা হয়নি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।