মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। ইতোমধ্যে অনেক প্রযুক্তি অসামান্য অবদান রেখেছে বিশ্বে। প্রতি বছরের মত নতুন বছরেও আসছে কিছু নতুন নতুন প্রযুক্তি যা পৃথিবীকে রাজত্ব করবে, এগিয়ে নেবে মানব সভ্যতাকে। সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন ২০২৩ সালে ৫টি প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। জেনে নেয়া যাক সেসব রাজত্বকারী প্রযুক্তি।
এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
ফোর্বস জানিয়েছে, সব শীর্ষ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেই এআইয়ের (কৃত্রিম বুদ্ধিত্তা) ব্যবহার দেখা যাবে। ফলে বাড়বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজের পরিধি। এআই-ভিত্তিক অ্যালগারিদম মানুষের চাহিদা মোতাবেক পণ্য সরবাহ করতে সহায়তা করবে। ২০২৩ সালে অনলাইনে কেনাকাটা ও পণ্য সরবরাহের পরিমাণ ব্যাপক হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কাজকে সহজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা—তা পণ্যের মূল্য পরিশোধ থেকে শুরু করে ঘরে পণ্য পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে বাড়বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার।
মেটাভার্স
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ২০৩০ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে মেটাভার্স। ২০২৩ সাল মেটাভার্সের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ও গেমিং জায়েন্ট এনভিডিয়া তাদের ডিজিটাল পণ্য নিয়ে কাজের জন্য মেটাভার্সের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে চলতি বছর বিশ্ববাসী অগমেনটেড রিয়েলিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) প্রযুক্তি আরও বহু দূর এগিয়ে যাবে। এমনকি ২০২৩ সালেই মেটাভার্সে কাজের পরিবেশ দেখা যেতে পারে।
রোবট
২০২৩ সালে রোবট আরও বেশি ‘মানবিক’ হয়ে উঠবে। রোবটের দক্ষতা ও চেহারায় পরিবর্তন আসবে। প্রবীণদের সঙ্গ দেয়ার পাশাপাশি রোবটগুলো কাজ করবে দোকান-রেস্তোরাঁ ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যর্থনা কক্ষে। এ ছাড়াও ওয়্যারহাউস ও কারখানায় ভারি কাজে মানুষকে সহায়তা করবে রোবট। পণ্য উৎপাদন ও লজিস্টিকসেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
গ্রিন টেকনোলজি
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বা গ্রিন টেকনোলজির গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাওয়ার আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্বন নিঃসরণ কমাতে ও বিদ্যমান কার্বন শুষে নিতে ইতোমধ্যে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা নানান উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। ২০২৩ সালে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি দাপট দেখাতে পারে। বিশেষ করে জ্বালানি পণ্য হিসেবে গ্রিন হাইড্রোজেনকে ঘিরে এ বছর সুখবর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ইউরোপের শীর্ষ জ্বালানি প্রতিষ্ঠান শেল ও আরডব্লিউই উত্তর সাগরের উইন্ডমিলগুলো থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহের জন্য প্রথমবারের মতো ‘গ্রিন পাইপলাইন’ তৈরি করছে।
ডিএনএ এডিটিং
বিজ্ঞানীরা মানুষের ডিএনএ এডিটিং নিয়ে গবেষণায় অনেক দূর এগিয়েছেন। ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে ডিএনএ পরিবর্তন করার সক্ষমতা অনেক বাড়বে। এ বছরেই জিন এডিটিং প্রযুক্তি বহু দূর এগিয়ে যাবে, যা সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।