সমস্ত সতর্কতা এবং ব্যবস্থা সত্ত্বেও, মিশনের সময় মহাকাশে একাধিক প্রাণহানি ঘটে। ১৯৮৬ সালের মহাকাশযানে বিপর্যয়ের জেরে নাসা ১৪ জনকে হারিয়েছিল। ১৯৭১ সালে সয়ুজের ১১ টি মিশনে ৩ জন মহাকাশচারী প্রাণ হারান। স্পেসফ্লাইট ক্রুদের প্রাণহানি একাধিক কারণে ঘটতে পারে।
যেমন -আগুন, চাপের তারতম্য, কেবিনে বিষাক্ত পদার্থের মুক্তি, বৈদ্যুতিক গোলযোগ, দূষণ, খাদ্য এবং পানির অভাব। একটি মিশনের সময় মৃত্যুর ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। চাপা উদ্বেগ থাকলেও অবশিষ্ট ক্রু সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের সুরক্ষিত জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়। পরিবেশ এক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ মৃত্যুর পরে দেহে পচন শুরু হয়ে যায়। অন্যান্য ক্রু সদস্যদের শরীরের ক্ষেত্রে এটি সমস্যা তৈরী করতে পারে
বিশাল দূরত্বের কারণে চটজলদি ওই দেহ পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। অভিযানের মাঝপথে ফিরে আসাও সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে কোনও মৃত মহাকাশচারীর দেহ, অভিযানের শেষে, কয়েক বছর পর জীবিত ক্রু সদস্যদের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
এই সময়কালে, দেহটিকে মহাকাশযানের মধ্যেই সংরক্ষণ করা হবে। নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ তৈরি করে দেহের পচনের গতি কমিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ দেহটি যাতে সহজে না পচে যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে। ক্রুদের স্বাস্থ্য বিবেচনা করে সতর্ক পরিকল্পনা প্রয়োজন। প্রতিটি পরিস্থিতিতে একটি ভিন্ন প্রক্রিয়া প্রয়োজন।
ধরা যাক, কেউ যদি মিশনে মারা যায় যা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মতো পৃথিবীর কক্ষপথের কাছাকাছি, ক্যাপসুল বা ক্রু অভিযানের মতো ‘সুইফ্ট রিটার্ন মেকানিজম’-এর মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টা বা দিনের মধ্যে পৃথিবীতে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা যাবে।
এই পরিস্থিতিতে, দেহটি সংরক্ষণের থেকে বেশি জোর দেওয়া হয় ক্রুদের সুরক্ষা এবং অপারেশনাল প্রোটোকলের উপর। মঙ্গল গ্রহের মতো মিশনের সময় একজন নভোচারী মারা গেলে তা ভিন্ন। এই পরিস্থিতিতে মিশন শেষে নভোচারীর দেহ পৃথিবীতে ফেরত আসে। অবতরণের পর মহাকাশচারী মারা গেলেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সূত্র: টাইমস নাও
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।