আমাদের সৌরজগতের বাইরে আরও ৫ হাজার পৃথিবী থাকার বিষয় নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। সোমবার বিষয়টিকে এক বৈজ্ঞানিক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন সিএনএন খবরে নাসা এক্সোপ্লানেট সায়েন্স ইনস্টিটিউটের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষণা বিজ্ঞানী এবং আর্কাইভের শীর্ষ স্থানীয় বিজ্ঞানী জেসি ক্রিস্টিনসেন বলেন, এটা শুধু একটি সংখ্যা নয়। এসব সংখ্যার প্রতিটি এক একটি নতুন বিশ্ব।
এক একটি নতুন গ্রহ। তাদের সম্পর্কে আমরা সব কিছু জানি না। তাই এদের প্রতিটির বিষয়ে আমি উদ্বেলিত। তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের স্বর্ণযুগে বাস করছি। যদিও আমাদের সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলির অস্তিত্ব পূর্বে প্রস্তাবিত হয়েছিল এবং সায়েন্স ফিকশনে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, আর এসব আবিষ্কৃত নতুন পৃথিবীগুলো ১৯৯০ এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল।
এখন পর্যন্ত যেসব পৃথিবী আবিষ্কার হয়েছে তার মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ হলো গ্যাসের তৈরি এক জায়ান্ট আকৃতির গ্রহ। শতকরা ৩১ ভাগ সুপার-আর্থের মতো। শতকরা ৩৫ ভাগ হলো নেপচুনের মতো। আর শতকরা ৪ ভাগ হলো পার্থিব বা পৃথিবী ও মঙ্গলগ্রহের মতো পাথরযুক্ত। ক্রিস্টিনসেন বলেছেন, নিশ্চিত ৫ হাজার গ্রহের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ আবিষ্কার করতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করেছে কেপলার।
নতুন ব্যাচে যে ৬৫টি গ্রহের কথা বলা হয়েছে তার বেশির ভাগই সুপার-আর্থের মতো এবং সাব-নেপচুনের মতো। আর কিছু আছে বৃহস্পতির মতো বিশাল উত্তপ্ত গ্রহ। পৃথিবীর সমান দুটি গ্রহ আছে। কিন্তু সেখানে তাপমাত্রা প্রায় ৬২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে বসবাসের যোগ্য গ্রহের চেয়ে সেখানে উত্তপ্ত পাথরের পরিমাণ বেশি। তিনি আরও বলেছেন, এমন একটি সিস্টেম আছে যাতে ৫টি গ্রহ আছে। তা একটি লোহিত বামন তারকা, যা ছোট্ট এবং তাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।