গত বছর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট ফেসবুক। ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন ও শিশুদের মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব পড়ার অভিযোগ তোলা হয় ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
বিতর্কের জেরে এক পর্যায়ে ফেসবুক কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মেটা। এবার প্রভাবশালী বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের কারণেই বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদের হার। বিচ্ছেদ-প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, ফেসবুকের কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ক্রমইে বেড়ে চলছে।
২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের একটি বিবাহ বিচ্ছেদ ওয়েবসাইট বলেছিল যে, দেশটির ‘বিহেভিয়ার পিটিশন’ (বিচ্ছেদের জন্য আবেদনের কারণ) এর ২০ শতাংশে ‘ফেসবুক’ শব্দটি রয়েছে, যার অর্থ সাইটটি কোনোভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য দায়ী ছিল। সম্প্রতি সেই হার ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে। একসময়ের সুখী দম্পতির মধ্যেও একে অপরের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ বাড়ছে এবং সমঝোতার সুযোগ কমে যাচ্ছে। এছাড়া ফেসবুক বন্ধুরাও বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ হয়ে উঠছে। তারা অনেকেই বন্ধু দম্পতিদের ব্যক্তিগত বিবাদে নিজেদের জড়িয়ে ফেলে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।