অনেকে অফিসে কিংবা বাড়িতে ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন। কম্পিউটার যদি নিয়মিত পরিষ্কার না রাখলে ধুলাবালি জমে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা ডেস্কটপের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে কিবোর্ড। অনেকে ল্যাপটপের সঙ্গেও আলাদা কিবোর্ড ব্যবহার করেন। কাজের সময় ডেস্কে বসে খাবার খাওয়ার ফলে খাবারের অংশ, ধুলাবালি কিবোর্ডের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। নির্দিষ্ট সময় পর পর কিবোর্ড পরিষ্কার করুন। এতে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো সার্ভিস পাবেন পুরোনো কিবোর্ড থেকেই। প্রতিদিন কাজের আগে একটু ভালোভাবে ঝেড়ে নিন। এ ছাড়া মাসে একবার ডিপ ক্লিন করুন।
কিবোর্ড পরিষ্কার করার সহজকৌশল-
প্রথমে উল্টো করে কিবোর্ডটিকে একটু মৃদু চাপড় মারুন। একটু ঝাকালেই দেখবেন অনেক ময়লা বের হয়ে এসেছে। এবার উপরের অংশ কাপড় বা ব্রাশ দিয়ে খুব ভালো করে ঝেড়ে নিন।
সুতি নরম কাপড়ে একটু ডিশওয়াসার মিশিয়ে আলতো হাতে কিবোর্ডের কিগুলো মুছে নিতে পারেন। এতে অনেকদিনের লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। কিবোর্ড পরিষ্কার করতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জুড়ি মেলা ভার। এতে অ্যালকোহল থাকে।
এক টুকরো তুলা বা কাপড় তাতে ভিজিয়ে পানি নিংড়ে নিয়ে কিবোর্ড ভালো করে মুছুন। একটি কটনবাড হ্যান্ড স্যানিটাইজারে ডুবিয়ে কি বোর্ডের কি এর চারপাশে মুছে নিতে পারেন।
চাইলে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে খুব সস্তায় আর সহজেই পেয়ে যাবেন জিনিসটি। অন্য অনেক কাজের মতো কিবোর্ড পরিষ্কারেও ভালো সহযোগিতা করতে পারে এটি।
শুরুতে কিবোর্ডটি খুলে নিন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার চালু করে কিবোর্ড থেকে হালকা দূরত্বে রাখুন। নিয়মিত এটির ব্যবহারে কিবোর্ডে ধুলো জমতে পারবে না।
কমপ্রেসড এয়ার ব্যবহার করতে পারেন। কমপ্রেসড এয়ার কনটেইনার যে কোনো সুপার শপে পেয়ে যাবেন।
কনটেইনারটি ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। কিবোর্ডের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন দিক থেকে স্প্রে করুন। এই প্রক্রিয়ায় খুব সহজেই কিবোর্ডে জমা ধুলোবালি দূর করতে পারেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।