যেখানেই সুযোগ সেখানেই হাজির হয় প্রতারকেরা। ডেটিং অ্যাপের জগতেও হাজির হয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০২১ সালেই ডেটিং অ্যাপগুলোতে ফাঁদ পেতে প্রতারকরা চারশত ৭২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত ৫ বছরে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীরা প্রতারিত হয়ে খুইয়েছেন সর্বমোট এক হাজার ১২২ কোটি টাকা।
যুক্তরাষ্ট্রে যত প্রতারণার ঘটনা ঘটে প্রতি বছর, এর মধ্যে ডেটিং অ্যাপে প্রতারণাই সবচাইতে বেশি।
প্রতারণার মঞ্চ বদলাতে পারে, কিন্তু কায়দা রয়ে গেছে আগের মতই। ডেটিং অ্যাপে ভুয়া প্রোফাইল খুলে প্রতারকরা অনলাইনেই প্রতারিত ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রেম জমায়, এরপর শুরু করে নানাবিধ মিথ্যা গল্প ফেঁদে টাকা চাওয়া। আজ অসুস্থতা তো কাল পারিবারিক সমস্যা, পরশু ব্যবসায় বড় ক্ষতি-প্রতারকদের সমস্যার যেন শেষ থাকে না। আবেগের বশে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা সরল বিশ্বাসে টাকা পয়সা পাঠাতেই থাকেন। একসময় তাঁরা বিষয়টি হয়ত টের পান ঠিকই, ততদিনে সে টাকা হয়ে গেছে লোপাট। গড়ে ২০২১ সালে প্রতারিত ব্যক্তিরা হারিয়েছেন মাথাপিছু ২ লাখ টাকারও বেশি। তাই স্বল্প পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে লেনদেনে সবসময়ই সতর্ক থাকা উচিৎ।
সূত্র: গিজমোডো
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।