জামালপুরের ৭টি উপজেলায় জমজমাটভাবে চলছে লাইসেন্সবিহীন ৯৯টি ইটভাটা। শুধু তাই নয় অবৈধ ওইসব ইটভাটাতে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে গাছের গুড়ি। অনেক ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে উর্বর ফসলী জমিতে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে মারাত্মকভাবে। লাইসেন্সবিহীন ইটভাটাগুলোতে কিভাবে ইট পোড়ানো হচ্ছে তার সঠিক উত্তর নেই প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে।

জানা গেছে, জামালপুর সদর, সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশিগঞ্জ উপজেলায় মোট ১শ ৩টি ইটভাটা রয়েছে। তন্মধ্যে জামালপুর সদরে ১টি ও সরিষাবাড়ি উপজেলায় ৩টি ইটভাটার জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৯৯টি ইটভাটার জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বা সরকারি কোন অনুমোদন নেই। অনুমোদন ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জামালপুর সদরসহ ৭টি উপজেলায় অবস্থিত এ ৯৯টি ইটভাটা চলছে জমজমাটভাবে।

কয়লার পরিবর্তে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে গাছের গুড়ি। জামালপুর সদর উপজেলার পুগলই এলাকায় মেঘলা নামে এক ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গিয়ে ওই ভাটাকে জরিমানা করাসহ ইট পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া স্বত্তেও সেটা এখনও দেদারসে ইট পুড়িয়ে চলেছে।

বলা বাহুল্য, ইটভাটা স্থাপনের পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন বা ছাড়পত্র নিতে হয়। যার মেয়াদকাল থাকে একবছর। তারপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সেই ইটভাটার আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে ইস্যু করা হয় তিনবছর মেয়াদী লাইসেন্স। পরিবেশের বিষয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, ইটভাটার সৃষ্ট দূষণের কারণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বায়ুদূষণ ও ধোয়ার কারণে ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত নানা রোগ দেখা দিতে পারে।

এ ব্যাপারে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ মোকলেছুর রহমান জানান, অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।