রাজশাহী ব‍্যুরোঃ সরকারী অনুমতি ছাড়া ও নিয়ম-নিতির কোন তোয়াক্কা না করে নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর বালু মহাল থেকে ভেকু দিয়ে ব্যাপক হারে অবৈধভাবে বালু-ভরাট উত্তোলনের মহাৎসব চলছে।

প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে এই ভরাট-বালি উত্তোলন করা হচ্ছে দিবালোকে। এতে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় হারাচ্ছে। অন‍্যদিকে বালু – ভরাট বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা।

পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে এভাবে বালু- ভরাট উত্তোলন করার ফলে ভবিষ্যতে লালপুর সদরে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন এলাকার জমি,কলনীতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রায় ৫০ টি বাড়ি, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,থানা, নদীর ভাঙ্গন রক্ষা বাঁধ, লালপুর সদর বাজার সহ প্রায় ৩০ টি গ্রাম নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে পড়বে।রবিবার(১৩ই মার্চ) সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিঃ এর নামে প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন এলাকার পাশে পানি শূন্য পদ্মা থেকে ভেকু দিয়ে বালু- ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে। এবং প্রতিদিন ১০ চাকার ডাম ট্রাক দিয়ে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ গাড়ী বালু ভর্তি করে নিয়ে যায়,এতে করে ফসলি জমির খতি ও গ্রামের রাস্তা গুলো নষ্ট হচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের নামে বনপাড়া ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দিন রাত ২৪ ঘন্টায় বালু- ভরাট উত্তোলন করেছেন উত্তর লালপুর হল মোড় এলাকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ পাপ্পু এর বাড়ির হতে প্রায় ৪ কিলোমিটার চরের ভিতর হতে এই বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসনের নজরে আসছেনা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় গৃহিণীরা জানান,রান্না করার সময় ও খাবারের সময় বাতাসে উড়ে এসে ট্রাকের বালু পড়ে। এছাড়া বাড়ী ঘরে বালু এসে নোংরা করে দেয়। এবং ছোট শিশুদের নিয়ে আমরা আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে জানান তাঁরা।

এ বিষয়ে বালু-ভরাট ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অফিসিয়াল ভাবে অনুমতি দিয়েছে এবং সার্ভেয়ার দিয়ে নকশা অনুযায়ী জায়গায় নির্ধারিত করে দিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মী আক্তার বলেন,বালু- ভরাট উত্তোলন করার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন,বিষয়টি দেখতে হবে।