মণিরামপুর প্রতিনিধি: একেতো মরা নদী তারপরেও নদী রক্ষায় বছরের পর বছর নেই কোন উদ্যোগ। আশপাশের গ্রামগুলোর ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। এমন দৃশ্য বহুবছর ধরে চলে আসছে মণিরামপুর পৌরসভার ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া হরিহর নদীতে। এ অবস্থায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী বাড়ছে দূষণ। ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-ব্যাধি।
যদিও এ নদীতে বছরের ৬ মাস পানি থাকেনা তবুও যখন পানি আসে নদীর বুকে তখন দূষণে নদীর পানি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। লক্ষ করলেই চোখে পড়ে মণিরামপুর ভায়া রাজগঞ্জ যাতায়াতের একমাত্র ব্যস্ততম সড়কের সংযোগ মুখে জীর্ণশীর্ণ ভাঙ্গা ব্রিজটি নিচে এই ময়লার ভাগাড়ের দৃশ্য। প্রতিদিন এই নদীর ভিতর ব্রিজের নিচের খোলা জায়গায় আবর্জনা ফেলে রাখা হয়।
পৌর শহরের পয়নিস্কাশনের একমাত্র নদী এটি তবুও নদী রক্ষায় নেই কোন উদ্যোগ। এমন কি আজও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর গুলোর নজরে আসেনি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এবিষয়ে একাধিক পথচারীদের সাথে কথা হলে তারা জানান পৌর শহরের একমাত্র পয়নিস্কাশনের ও এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে জন্য নদী রক্ষা এখন সময়ের দাবী।
তবে মণিরামপুর প্রথম শ্রেণীর পৌর সভার ময়লা ফেলার পর্যাপ্ত পরিমাণ ডাস্টবিন না থাকায় প্রতিনিয়ত হরিহর নদের সংযোগ ভাঙা ব্রিজের নিচে সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ময়লা আবর্জনা ফেলে নদটি ভরাট করে তুলছেন। যা নদীর নব্যতা নষ্ট হতে চলেছে। এছাড়াও হরিহর নদের উপর দিয়ে গড়ে তুলেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। এসকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সহ নদী রক্ষার জোর দাবী তুলেছেন সচেতন মহল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।