বিশ্বের প্রযুক্তির প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। প্রযুক্তি পণ্যের সুবিধা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ডেটা নিরাপত্তার ঝুঁকিও। সাইবার জগত সবার জন্য সম্ভাবনার উৎস।
যদিও সবাই আলোর পথে হাঁটছে, সম্ভাবনার পথে। কিন্তু অপরাধ চক্র থেমে নেই। সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে সরকার, কর্পোরেট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সকল আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

তথ্য সুরক্ষা এবং অ্যান্টিভাইরাস প্রযুক্তি সংস্থা ক্যাসপারস্কি ল্যাবের দেওয়া তথ্য অনুসারে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে কোথাও না কোথাও সাইবার হামলা হচ্ছে।

মূলত, বাংলাদেশে অনেকেই এই খাতকে তাদের প্রধান পেশা হিসেবে নিতে চান না। নওশাদ চৌধুরী তাদের একজন। ছোটবেলা থেকেই সাইবার সিকিউরিটি এবং হ্যাকিং এর প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল, সেইসাথে সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট হিসেবে অধ্যয়ন ও নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন। তার ইচ্ছা ও আগ্রহ দেখে অনেকেই হাসাহাসি করত কিন্তু সে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে চিন্তা অক্ষুণ্ন রেখে তার স্বপ্নের সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছেছে।

তিনি বর্তমানে একজন সফল সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, এই ক্ষেত্রে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন সময় থেকে এই সেক্টরে কাজ করছেন। তিনি বর্তমানে সামাজিক সংগঠন টিম পজিটিভ বাংলাদেশ (TPB) এর সাথে কাজ করছেন তাদের আইটি কোম্পানির সাইবার সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে।

এছাড়াও তিনি দেশে এবং বিদেশে অনেক কোম্পানিকে সাইবার নিরাপত্তা প্রদান করেন। এই পেশাকে তার প্রধান কাজ হিসেবে পেয়ে সে খুশি, তার বাবা-মা গর্বিত এবং তার পরিবারের সবাই খুশি।