রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় এখন হাতবাড়ালেই মিলে হিরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা টেবলেট, এই উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায়, দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে মাদক কারবারিদের মাদকের রমরমা ব্যবসা। এসব -অসৎ মাদক ব্যবসায়ীদের কারনেই মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠেছে, উঠতি বয়সের কিশোর গ্যাং।

মাদকের নিশায় আসক্ত হয়ে -দল বেধে, করে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন অপকর্ম, নষ্ট হচ্ছে যুব সমাজ,এলাকা বাসীর৷ অভিযোগ। প্রসাশনের গাফিলতির কারণে, মাদক চোরাকারবারিদের হাতে নষ্ট হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া যুবসমাজ। নষ্ট ছেলে -মেয়ে দের ভবিষ্যৎ। দিনের পর দিন, মাদকদ্রব্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে- মোটা অংকের টাকা চুক্তি করে, এই ব্যবসা চালাতে হয় বলে, জানান এলাকার এক মাদক ব্যাবসায়ী ।

প্রশাসনের সঙ্গে এই ব্যবসায়ীদের মাসিক চুক্তি থাকার কারনে, হিরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজা, ব্যাবসায়ী, ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে । খোঁজ নিয়ে জানা- যায় -যে,
চারঘাট উপজেলাটি সীমান্তবর্তী এলাকা -হওয়ায় বহুল পরিচিত সারদা স্টেশন সংলগ্নে- এলাকার আশে-পার্শের গ্রামগুলো তে- দুর দুরান্ত থেকে আসা মাদক সেবন কারিদের ভিড় লেগেই থাকে ।

প্রশাসনের সহায়তায় চলচ্ছে, চামটা গ্রামে রমরমা মাদক ব্যবসা। স্টেশনের- পার্শে -বৃহৎতম বানিজ্যিক এলাকা বানেশ্বরহাট থাকায় প্রতিদিন লক্ষ, লক্ষ টাকার মাদক বিক্রয় করে মোটা অঙ্কের টাকার পাহাড় গড়ে তোলেছে অসৎ ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন থেকে, চোরাকারবারিরা মাদক বেচা-কেনা করে আসছে।

দেশের বিভিন্ন এলাকায়, মাদক পাচার করে কোটি -কোটি টাকার মালিক হয়েছে, এ -এলাকার অনেক মাদক ব্যবসায়ী, এদের মধ্যে কয়েকজন ব্যাক্তি মাদকের গডফাদার হিসাবে পরিচিত, তাদের মধ্যে কয়েকটি যাইগায় মাদক সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। চামটা, হলিদাগাছি, তাতারপুর, ইউসুফপুর, বাদুড়িয়া চারঘাট বেলপুকুরের সীমান্তবর্তী হওয়াই ব্যাপক চলছে মাদক ব্যবসা।মাঝে মাঝে বেলপুকর থানা পুলিশ দুই এক জনকে আটক করলেও প্রায়ই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে।

বালুদিয়াড়, চারঘাট, মাদকের গডফাদার হিসাবে জানাযায়, চামটা গ্রামের মৃত্য মহর আলীর ছেলে- শাহ্ আলম,(৩৪) ও মৃত্য আবেদের ছেলে -কালু (৪২) এবং হলিদা গাছি গ্রামের হিরোইন (আসরাফ),(৩৭) বালুদিয়াড় গ্রামের মৃত্য খালেক আলীর ছেলে ইয়াবা ইদ্রিস(বেকারি ) (৫০)নামের ব্যাক্তি নাম মাত্র বেকারি ফেক্টারী দিয়ে রেখেছে তার চোক্ষু আড়ালে ইয়াবা,হিরোইন, ও ফেনসিডিল তার মুল ব্যবসা।

এই ব্যাবসা করে দুইটা বহুতল ভোবন স্থাপনা করেছে বলে জানা যায়।
পুরান পাইট খালি মজিবুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩২) হাবিবুরের ভাই মতিউর রহমান(৪২)মৃত্য -ওয়াদ আলীর ছেলে আকবর(৩২) হলিদা গাছি তালতলা, একই গ্রামের আকবরের চাচাত ভাই- বিচ্ছাদ আলী,(৩৯) মৃত্য কুদ্দুস আলীর ছেলে আব্দুল আলী (কালু) (৪৫)মাড়িয়া পশ্চিম পাড়ার ছাইদুরের ছেলে ফেনসি রাসেল(৩১) যদিও সে ইয়াবা, ও হিরোইন, বেচা কিনা করে পাশাপাশি ফেনসিডিল ব্যবসায়ী নামে পরিচিত।চামটা মৃত্য মটর হোসেনের ছেলে মতিবর(৪১) আকবরে ছেলে শাহাবুর মেম্বার(৩৬) বানেশ্বর পুর্ব্যপাড়া, একই গ্রামের রইহিদুলর স্ত্রী শুরাইয়া(৩৫) তার মেয়ে প্রতিবন্ধী হওয়ায় প্রশাসনের নাকের ডুগাদিয়ে হরদম চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের ব্যবসা, মৌগাছি গ্রামে আওয়ালের ছেলে শুভ নামের এক সর্স প্রশাসনের হাতে ধরা মাদক গুলো চাচি কাজোলি লিটনের স্ত্রী,কাজলীর মেয়ে জামাই আজাদের ছেলে নাইম। এরা সকলে মিলে প্রশাসনের যোগসাজসে মাদক বিক্রয় করে যাচ্ছে।

মাদক বিক্রেয় টাকা দিয়ে শুভো বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করেছে বলে জানাযায়।হাকিম আলীর ছেলে মুন্জুর(৩১) হলিদাগাছি জাগিরপাড়া মৃত্য আসলাম মেম্বারের ছেলে আন হোসেন(২৭)হলিদাগাছি জাফের পুর দুই বার অস্ত্র মামলায় আটক হয়েছিলো। মৃত- নাজিমুদ্দিনের ছেলে কাজিমুদ্দিন(৪০)
গাঁশিবপুর তাতারপুর ও চামটা গ্রামে –সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, বিভিন্ন উপজেলা থেকে ভিন্ন ভিন্ন মোটরসাইকেলও পাইভেটকার গাড়িতে, আসা মাদক সেবন কারীদের ভিড় লেগে আছে।

এতে করে বেড়েছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও খুন, আতংকে আছে প্রতিটা ছেলে -মেয়ের বাবা, নষ্ট হচ্ছে যুবসমাজ। মাদক সেবনের কারনে বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ,ভেঙ্গেছে অনেক মেয়ের ঘর সংসার। কষ্ট পাচ্ছে ছোট ছোট ছেলে -মেয়েরা। মাদক সেবীদের হাতে নষ্ট হচ্ছে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ, লাঞ্চিত হচ্ছে মাদক সেবিদের মা -বাবা, অনাহারে অনেকের পরিবারের কাটছে দিন।

এত কিছুর পরেও বিবেকে নাড়া দিচ্ছেনা বর্তমান সচেতন মহলের মানুষের অন্ধকারের ঘর। এই এলাকায় বিভিন্ন -জায়গায় প্রকাশ্যে চলচ্ছে, মাদক বেচাকিনা । সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ -দিলেও কোন প্রোকার সুফল পাচ্ছে না বলে -অভিযোগ এলাকা বাসির ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলে -অল্পবয়সী কিসর গ্যাং ব্যাঙের ছাতার মত, দিনে -দিনে বেড়ে চলেছে। এসব ছেলে মেয়েদেরএকাধিক অভিভাবকেরা জানান, মাদক ক্রয়বিক্রয় ঠেকাতে না পারলে , কিসোর গ্যাংঙ্গের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আগামীতে বিপথে নেমে জাতিকে ধংশের মুখে টেনে নিয়ে জাবে ।

এব্যপারে চারঘাট মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মাহাবুবুল আলম এর সঙ্গে মুঠোফোনে অনেক বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিফ করেন নাই।