রমজান ও ঈদকে ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ের সেমাই ও মুড়ি তৈরির কারখানাগুলো এখন সরগরম। করোনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিকে ফিরে আসায় মিল কারখানায় দিন রাত শ্রম দিয়ে বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়েছেন শ্রমিকরা। লাভবান মালিকরাও।


ঈদকে সামনে রেখে বাজারের চাহিদা পুরনে প্রতিদিনিই সদরের ডেইলি ফ্রেশ কারখানার শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। তেলে ভাজা নানা রকমের সুস্বাদু সেমাই তৈরিতে একযোগে কাজ করছেন পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা।

এ কারখানাটিতে ব্যতিক্রম নানা আইটেমের লাচ্ছা সেমাই তৈরি করায় চাহিদাও বেড়েছে প্রচুর। বিএসটিআই অনুমোদনের পাশাপাশি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়েও অন্যান্য কারখানার তুলনায় ভাল বলে দাবি স্থানীয়দের। ঈদ বাজার ধরতে ঠাকুরগাঁও জেলার প্রতিটি সেমাই কারখানাই এখন সরগরম।


পুরুষদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও সমান তালে কারখানায় সেমাই তৈরি ও প্যাকেটিংসহ বাজারজাতে প্রস্তুত করছেন। সেমাই কারখানাগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে চলছে মুড়ি কারখানাগুলোও। মুড়ি ভাজার কাজে ব্যস্ত প্রশিক্ষিত শ্রমিকরাও।
করোনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কারখানার অস্বাভাবিক উৎপাদনে নিয়মিত কাজ পাওয়ায় খুশি মিল মালিক ও শ্রমিকরা।

ডেইলি ফ্রেশ বেকারির প্রোপাইটর আশরাফুজ্জামান জানান, আমরা ভাল মানটিই ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে চাই। এ কারনে কারখানার পরিবেশ থেকে শুরু করে উৎপাদন ও মোরকজাত পর্যন্ত স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিশ্চিত করি। বর্তমানে রং বেরংয়ের বিভিন্ন রকম লাচ্ছাসহ এবার চকলেট লাচ্ছা তৈরি করছি আমরা। আমাদের সেমাইয়ের মান ভাল বলেই দুর-দুরান্তের পাইকাররা ছুটে আসছেন।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির কথা স্বীকার করে থ্রি স্টার পাওয়ার মিলের প্রোপাইটর জাহাঙ্গীর খাঁন জানান, কারখানা চালাতে গেলে এমন থাকবেই। চেস্টা করছি ভালভাবে উৎপাদন করতে।

বিসিক শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, জেলায় স্বাভাবিক সময়ে পনেরটি কারখানা চালু রেখে সেমাই ও মুড়ি তৈরিতে তিনশ শ্রমিক কাজ করলেও বর্তমানে চব্বিশটি কারখানায় প্রতিদিন সহশ্রাধিক শ্রমিক কাজ করছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। নোংরা পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনে অবশ্যই তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।