বিশেষ প্রতিনিধি: অসুখে বিসুখে অসুস্থতায় সৃষ্টিকর্তার পরেই মানুষ যাদের শরণাপন্ন হয় সেই মহান পেশার মানুষ হলো চিকিৎসক। সেবার ব্রত নিয়েই যারা নিজেদের আত্ম নিয়োগ করেন চিকিৎসাসেবার মতো মহৎ পেশায়। প্রতিটা সেক্টরেই ভাল মন্দ দুই শ্রেণীর মানুষ থাকে তেমনি চিকিৎসা ক্ষেত্রেও আছে। রাগ অভিমানে এই পেশার মানুষকেই অনেক সময় কশাই বলতেও শোনা যায় আবার এই মানুষগুলোর দারা উপকৃত হয়ে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রাণভরে দোয়াও করেন অনেকে।

চিকিৎসাসেবা একটি অনন্য শিল্প বা সেবা। একে প্রায়োগিকভাবে রপ্ত করতে হয়। জানতে হয় বিস্তর। আত্মস্থ করতে হয় ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে। সব কাজের মধ্যে যেমন প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণি আছে, তেমনি চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যেও তাই। সবকিছু ছাপিয়ে চিকিৎসকের উত্তম ব্যবহার, হাতের যশ, রোগ নির্ণয়, তার সঠিক চিকিৎসা প্রয়োগ, চিকিৎসার অনাবিল মুন্সিয়ানা হয়ে উঠে অনেকে। অনেক চিকিৎসক আছেন যাদের কোনো আবেগ ও হৃদয়ের ভাবাবেগ থাকে না। এ যেন রোবটিক ফাঁপা, নিষ্প্রাণ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা করা। এ রকম চিকিৎসকদের সাধারণ মানুষ মোটেই পছন্দ করেন না। চিকিৎসা করতে হয় রোগের ধরন বুঝে আর বাস্তবতা দিয়ে। তাহলেই রোগ দূরীভূত হবে। সেই রকম একজন ভাল মানের ও ভাল মনের একজন মানবিক চিকিৎসক। তার আচরণেই রোগীর অর্ধেক রোগ ভাল হয়ে যায় এমন মন্তব্যও করেছেন তার কাছে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী ও অভিভাবকেরা।

যার সম্পর্কে বলছিলাম তিন আর কেউ নন’ মণিরামপুরেরই কৃতি সন্তান ডাঃ রঘুরাম চন্দ্র।
ডাঃ রঘুরাম চন্দ্র মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মৃত রামপ্রসাদ চন্দ্র ও সন্ধ্যা চন্দ্রের সন্তান। মৃত রামপ্রসাদ চন্দ্র অত্র এলাকার গোপালপুর কাচারি অফিসের স্বনামধন্য নায়েব ছিলেন।
ডাঃ রঘুরাম চন্দ্র নেহালপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে কলেজ সেরা হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করার সুযোগ পান।
তারপর এমবিবিএস, বিসিএস(স্বাস্থ্য), সিএমইউ(আল্ট্রা)-তে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করে বর্তমানে সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার হিসেবে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজ উপজেলাবাসীর জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন। একজন ভাল মানের ও ভাল মনের চিকিৎসক| শিশু ও ডায়াবেটিস রোগের এক অনত্যম চিকিৎসক। তিনি মেডিসিন, বক্ষব্যাধী,ডায়াবেটিস, বাত ব্যাথা, অ্যাজমা,ও এলার্জী সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তাঁর কাছে চিকিৎসা গ্রহন করা একাধিক রোগীর সাথে কথা বলে জানা গেছে তিনি সময় ধরে রোগের বর্ননা শোনেন এবং রোগীর সাথে সুন্দর আচরণ করেন।
সর্বদা হাসোজ্জল এ চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে ইতোমধ্যে ব্যপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন। ভাল ডাক্তারের কাতারে স্থান পেয়েছেন। মানবিক এ চিকিৎসক অনেক গরীব অসহায় রোগীদের ফি ছাড়াই চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অতিরিক্ত পরীক্ষা দেন না ডাক্তারকে নির্ভয়ে সব বলা যায় । একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোন টেস্ট দেন না।একদিন রাতে সরেজমিনে দেখা যায় মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রয়েছেন ডাঃ রঘুরাম চন্দ্র। এসময়ে জরুরি বিভাগে একাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে তিনি ব্যস্ত থাকায় সেবা নিতে আসা লিপি বেগম নামের এক নারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যশোর খুলনা দিয়ে অনেক বড় বড় ডাক্তার দেখিয়েছি কোন কাজ হয়নি, স্যারকে দেখিয়ে এখন অনেক ভালো আছি।
এদিকে চিকিৎসা নেবার অপেক্ষারত সাংবাদিক সুমন চক্রবর্তীর স্ত্রী সাথী চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মেয়ে ‘কথা’ পেটে আসা থেকে রঘুরাম স্যারের পরামর্শ নিয়ে আসছি, আজ রাতে হঠাৎই একটু অসুস্থ বুঝতে পেরে স্যারকে দেখাতে নিয়ে আসছি। ডাঃ রঘুরাম চন্দ্র খুবই ভালো মনের মানুষ। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রাথনা করি যেন তিনি সবসময় সুস্থ থাকেন মানুষের জন্য।