যশোর মণিরামপুর উপজেলাই গত এক সপ্তাহ এর ব্যাবধানে মাদ্রাসা ও স্কুল পড়ুয়া ৩ শিক্ষার্থী গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এদের ৩ জনের বয়স ৭ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে।

গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে ৩ জনের আত্মহত্যার কারণ গুলাও সাভাবিক ছিলো।

৩ জনের মধ্যে প্রথম জন আত্মহত্যা করেন গত ১৪ হে জুলাই বৃহস্পতিবার মণিরামপুর উপজেলার কাশিমনগর ইউনিয়ন গয়েসপুর গ্রামের সোরাহব হোসেন এর মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে হাবিবা খাতুন(১২)।হাবিবার আত্মহত্যার কারণ জানতে চায়লে পরিবার সূত্রে জানাযায় হাবিবা মাথায় সমস্যা ছিলো।

দ্বিতীয় জন গত ১৮ ই জুলাই মঙ্গলবার মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নে কায়েমকোলা গ্রামের আব্দুল মালেক এর ছেলে বাপ্পি হোসেন (৭)। সে স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। বাপ্পির আত্মহত্যার কারণ জানতে চায়লে পরিবার সূত্রে জানা যায় মাংস খেয়ে ফেলায় বাবার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

বাপ্পির মা মঞ্জুয়ারা বেগম জানান, তাঁর ছেলে খুব রাগী ছিল। গত মঙ্গলবার সকালে মাংস খাওয়া নিয়ে বাপ্পি তার বাবার সঙ্গে রাগ করে আত্মহত্যা করেছেন।

তৃতীয় জন গত ২০ শে জুলাই বুধবার মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের ঘুঘুরাইল গ্রামের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল শিক্ষার্থী ফারিহার (১৫) আত্মহত্যা করেছেন। ফারিহার আত্মহত্যার কারণ জানা যায় পরিবার সূত্রে ছোট বোন খাতা ছিঁড়ে ফেলায় বাগ্বিতণ্ডার জেরে মায়ের ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি স্বজনদের।

গত এক সপ্তাহে ব্যাবধানে যে ৩ জন আত্মহত্যা করেন তাদের যে বয়স এ বয়সে এদের এমন আত্মহত্যা এলাকার মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। কারণ এদের এ বয়সে এমন কঠিন সিধান্ত এরা কি ভাবে নিতে পারে এ মৃত্যু গুলা নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে,কারন নিজেদের ঘরেও তো এমন বয়সের ছেলে মেয়ে আছে।

এ আত্মহত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে, মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন, গত এক সপ্তাহে যে ৩ জন আত্মহত্যা করেছেন এদের যে বয়স এই বয়স ছেলে মেয়েরা যখন যেটা ভাবে সেই কাজটা করে ফেলে।

এদের যে বয়স এই বয়সে এমন আত্মহত্যা আসলে এটা পরিবারের অসচেতনার অভাবে এমন কাজ হয়,সকলে নিজের ন ছেলে মেয়েদের প্রতি নজর রাখতে হবে তাদের সাথে ব্যাবহার সব সময় ভালো করতে হবে।