নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায় নবগঙ্গা নদীর কোলা পাচুড়িয়া নদীর এরিয়া থেকে ঠিকাদারের সহযোগিতায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন,এবং সরকারি রাস্তায় অবৈধভাবে গতিরোধক দিয়ে ঠিকাদারের ম্যানেজার ও নয়ন,এবং ইলু সহ একদল সিন্ডিকেট।

২৪/ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পাচুড়িয়া বাজার ব্রিজের পশ্চিমপাশে অবৈধ ভাবে দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে নবগঙ্গা নদীর বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন পুকুর ও গর্ত ভর্তি করা হচ্ছে।সেখান গিয়ে পুকুর মালিক আলম চৌধুরীর স্ত্রীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমারা নয়ন,ও ড্রেজার মালিক বাল্লক খান দের থেকে ১ লক্ষ ৫০হাজার টাকা দিয়ে পুকুর ভরাট করতেছি।

 

এসময় তিনি ঠিকাদারের ম্যানেজারের কথা ও বলেন এবং সাংবাদিকদের বলেন আপনারা ঠিকাদারের সাথে কথা বলেন।

এসময় কোলা গ্রামের নয়ন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নাই।

 

এরপরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার বিষয়ে ঠিকাদার মোঃ টিপু সুলতান এর সাথে মুঠোফোনে (০১৭১২৯৫৬৮৩৯) যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নাই।

 

এসময় উপস্থিত স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন অনেকদিন যাবত অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছেন নয়ন, সে নাকি এখানে সাইড ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন।

 

এবিষয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী ইন্জিনিয়ার উজ্জল কুমার সেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি বাইরে মিটিংয়ে আছি আপনি এস,ডি সাহেবের সাথে কথা বলেন,বলে ফোন কেটে দেন।

এরপরে অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন করার বিষয় ও রাস্তায় অবৈধ গতিরোধক দেওয়ার বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোসলিনা পারভীন কে মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন বিষয় টা আমি দেখতেছি, আমি ওসি সাহেবে বলে দিচ্ছি, আপনি ও একটু ওসি সাহেবে জানান।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন কে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি বলেন আমি ওই ইউনিয়নের পুলিশ অফিসার কে বলে দিচ্ছি ওটা দেখতে।