চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার সুপার এইটে উঠেছিল আফগানিস্তান। নিউজিল্যান্ডকে বিদায় করে সুপার এইট পর্বে উঠে তারা। সুপার এইট পর্বে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশকে হারিয়ে আফগানরা নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল। যদিও সেমিতে রাঙাতে পারেনি সাহসে ভরা উজ্জীবিত দলটি। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। তবে এই হারে মোটেও আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদে মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আফগানিস্তান। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৯ বল বাকি থাকতে মোটে ৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। রান তাড়ায় ৯ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে ফেলেন প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলের কাছে এই হার অকপটে মেনে নিয়েছেন রশিদ।
ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রশিদ বলেন, ‘দল হিসেবে এটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। আমরা হয়তো আরও ভালো করতে পারতাম কিন্তু আমরা যা চেয়েছি কন্ডিশনের জন্য পারিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমনই, আপনাকে সব কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি মনে করি তারা (দক্ষিণ আফ্রিকা) সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। ’
‘আমরা আসরজুড়ে উপভোগ করেছি। সেমিফাইনালে আফ্রিকার মতো শীর্ষ দলের কাছে হার মেনে নিচ্ছি। এটা আমাদের জন্য মাত্র শুরু, যে কোনো প্রতিপক্ষকে হারানোর আত্মবিশ্বাস আমাদের আছে। শুধু আমাদের প্রক্রিয়া ধরে রাখা প্রয়োজন, এটা আমাদের জন্য দারুণ শেখার অভিজ্ঞতা। ’
ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক হলে আফগানিস্তানের সম্ভাবনা বেড়ে যেত আরও। বোলিংয়ে যেভাবে দলটি ভালো করেছে, ব্যাটিংয়ে তেমন দাগ কাটতে পারেনি। সামনে ব্যাটিং বিভাগ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াবে বলে প্রত্যয় রশিদের কণ্ঠে।
‘কিছু কাজ করতে হবে, বিশেষ করে মিডল অর্ডারে ইনিংসকে গভীরভাবে নিয়ে যেতে। আমি যেমন বলেছি, এটা আমাদের দলের জন্য সবসময়ই শেখার বিষয় এবং আমরা এখন পর্যন্ত ভালো ফল অর্জন করেছি কিন্তু আমরা আরও কঠোর পরিশ্রম করে ফিরে আসব, বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।