বাংলাদেশের দ্রুততম মানব মোহাম্মদ ইসমাইলকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। গত ২ অক্টোবর থেকে আগামী বছরের ২ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কর্যকর থাকবে। এই সময়ে তিনি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক কোনো রকমের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অবশ্য শাস্তি কমানোর জন্য আপিল করতে পারবেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অ্যাথলেট ইসমাইল।

জানা গেছে, টোকিও অলিম্পিকের বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ইসমাইলের ওপর এই শাস্তির খড়গ নেমে এসেছে। সর্বশেষ টোকিও অলিম্পিকের জন্য অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিকভাবে তিনজনকে বাছাই করা হয়েছিল। দ্রুততম মানব মোহাম্মদ ইসমাইল ও মানবী শিরিন আক্তারের সঙ্গে ৪০০ মিটার দৌড়ে জহির রায়হান ছিলেন তালিকায়।

এই তালিকার বিরুদ্ধে আপত্তি জানান ইসমাইল। শুধু তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে তিনি অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠিও দেন। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব আজ বলেন, ‘ইসমাইল ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে একটি চিঠি দিয়েছিল।

তাকে বাদ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কথা বলেছিল। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার মাধ্যমে এই ঘটনা দেশে ও দেশের বাইরের মানুষ জেনেছে। এতে ফেডারেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ জন্য প্রথমে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। এরপর ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।’