১০৪ রানের মামুলি পুঁজি নিয়েও বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ।
ইনিংসের চতুর্থ বলে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে সাজঘরে ফিরিয়ে অসিদের কোণঠাসা করে দেন মেহেদি হাসান।
যে কারণে পাওয়ার অস্ট্রেলিয়ার সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছিল।
কিন্তু চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসানকে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩০ রান আদায় করে নেন অসি অলরাউন্ডার ডেন ক্রিস্টিয়ান। এক ওভারেই ১৫ রান থেকে পঞ্চাশের কাছে নিয়ে যান ড্যান।
মামুলি পুঁজির টার্গেটে সাকিবের ওই ওভারটিই অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জয়ের টার্নিং পয়েন্ট বলে জানাচ্ছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।
এ নিয়ে ম্যাচশেষে কম তিরস্কার শুনতে হয়নি সাকিবকে। তবে সাকিবের ঘুম কেড়ে নেওয়া ডেন ক্রিস্টিয়ান বলেছেন, ‘সাকিব তার লক্ষ্য ছিল না। তার লক্ষ্য ছিল পাওয়ার প্লেতে নতুন বল কাজে লাগানো। সেই উদ্দেশ্যেই নাকি তাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়েছিল। দ্রুত রান তোলার পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলেন। কোনো নির্দিষ্ট বোলার তার ভাবনায় ছিল না।’
ম্যাচশেষে ডেন ক্রিস্টিয়ান বলেন, ‘বিগব্যাশ ও আইপিএলে সাকিবের বিপক্ষে আমি খেলেছি। কিন্তু মাঠে সে আমার লক্ষ্য ছিল না। আমার কাজ ছিল, ক্রিজে গিয়ে দ্রুত যত বেশি সম্ভব রান করা। পরে যারা আসবে তাদের জন্য রান তাড়ার কাজটা সহজ করা। সেই পরিকল্পনাই ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের।’
তা হলে শুধু সাকিবের ওভারেই এমন মারমুখী হলেন কেন? ডেন হেসে বলেন, ‘সাকিবের ওপর চড়াও হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা আমার ছিল না। ওই ওভারটাতে আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম। শটগুলো মাঝ ব্যাটে লেগেছে। পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিংয়ের মজাই এটা। আমি বেশ স্বাধীনতা নিয়ে খেলছিলাম।’
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবারের ম্যাচে অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেননি ডেন ক্রিস্টিয়ান। সাকিবের ওভারে ৫ ছক্কা হাঁকানোর সঙ্গে আর ৯ রান যোগ করেই মোস্তাফিজের বলে আউট হন তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।