শীত আসলেই যেন শুরু হয়ে যায় ঠাকুরগাঁও শহরের ব্যাডমিন্টন খেলার উৎসব সন্ধ্যা ঘনাতেই জমে উঠেছে খেলা। কোর্ট থেকে ভেসে আসছে ‘থার্টিন হোপ’, ‘ফোরটিন লাস্ট’ চিৎকার। পাশে অপেক্ষমাণ খেলোয়াড়, দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা।
তাই আমাদের সবার জীবনে খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে।
১৯ শতকের প্রথমে এই খেলাটি সর্বপ্রথম বৃটেনে আরম্ব হয়। তবে এই খেলায় তখন কর্ক এর পরিবর্তে বল ব্যবহার করা হত।
ঠাকুরগাঁওয়ের প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই এখন চোখে পড়ে এমন দৃশ্য। শীতের শুরু থেকেই শুরু হয়ে গেছে শীতের খেলা ব্যাডমিন্টন।
ব্যাডমিন্টন এ দেশে ‘মৌসুমি’ খেলা। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে ব্যাডমিন্টন খেলার ধুম পড়ে যায়। তরুণদের পাশাপাশি মধ্যবয়সীরাও যোগ দিচ্ছেন ব্যাডমিন্টন উৎসবে। পিছিয়ে নেই নারীরাও।
ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য কাটা হয়েছে কোর্ট। গোবিন্দ নগর, হাজীপাড়া, মিলন নগর, সরকারপাড়া, বশির পাড়া, সহ রোড এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মাঠেই একাধিক কোর্ট কাটা হয়েছে।
কোন কোর্টে জলছে না কোন বাতি, আবার কোনো কোর্টে জ্বলছে দুটি এনার্জি বাতি।
গোবিন্দ নগর এলাকার শামীম হোসেন বলেন বলেন, ‘শীতের রাতে ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালো লাগে।
একসঙ্গে এক খেলায় চারজনের বেশি খেলতে পারে না। অপেক্ষমাণ খেলোয়াড়দের সঙ্গে উৎসাহী দর্শক যোগ দেওয়ায় কোর্টের পাশেই তৈরি হচ্ছে জটলা। ব্যাডমিন্টন খেলার উপযোগী কোর্ট তৈরি ও সরঞ্জামে বেশ খরচাপাতির প্রয়োজন। তাই যারা প্রতিদিন খেলবে, তাদের দিতে হয় নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা।
তবে এই শীতকালের শুধু ব্যাডমিন্টন খেলাটি নয় বরং আরো একটি উৎসব এই শীতের রাতে হয় সেটি হল গরম-গরম ভাপা-চিতই পিঠা খাওয়া । পিঠা ছাড়াও চা, চটপটি-ফুচকা, কখনো চানাচুর-মুড়ি মাখানো এসব তো আছেই, কোনো উপলক্ষ পেলে কোর্টেই আয়োজন করা হয় বিশেষ ভোজের।
অনেক এলাকায় ‘ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট’-এর আয়োজনও চোখে পড়ে। নতুন বছর সামনে রেখে অনেক এলাকাতেই আয়োজন করা হচ্ছে প্রতিযোগিতা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।