বরাবরের মতো বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) একই চিত্র। দিন আর রাতের ম্যাচে এক উইকেটের দুই চরিত্র। দিনে রান খরা আর রাতে রানউৎসব। বিপিএলের চতুর্থ দিনও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আগে ব্যাটিং করে ফরচুন বরিশালকে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান করে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা। শুরুতে দারুণ খেলেন এই ম্যাচে প্রথম সুযোগ পাওয়া কুমিল্লার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়, আর শেষ দিকে ঝড় তোলেন আফগান অলরাউন্ডার করিম জানাত।
ক্যামেরন ডেলপোর্ট-জয়ে দারুণ শুরু হয় কুমিল্লার। ৩ ওভারে দলটি তুলে ফেলে ২৯ রান। এরপর নাঈম হাসান ব্রেক থ্রু এনে দেন ডেলপোর্টকে (১৩ বলে ১৯) ফিরিয়ে। তবে এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও জয় খেলে যাচ্ছিলেন ধারাবাহিক। তিনে নেমে ফাফ ডু প্লেসি (৬) ডানা মেলার আগেই সাজঘরে পাঠান সাকিব। ইমরুল কায়েস (১৫) জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।
এক প্রান্তে দারুণ খেলতে থাকা জয় রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। প্রতি ওভারেই আসছিল বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারি। তাকে হাফসেঞ্চুরির আগে থামিয়ে দেন জ্যাক লিনটট। জয়ের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৮ রান। ৬ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ বলে এই রান করেন তিনি।
জয়ের আউটের পরের ওভারেই (১৭তম) সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ১৭ রান। পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারালেও রানের চাকা থামেনি কুমিল্লার। পরপর দুই বলে মাহিদুল অঙ্কন (৮) ও নাহিদুল ইসলাম (০) ফেরেন দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগেই। তবে করিমের ঝড়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। শেষ দুই ওভারে তোলে ২৩ রান। করিম ১৬ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
বরিশালের হয়ে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ডোয়াইন ব্রাভো। এ ছাড়া সাকিব সমান ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নাঈম হাসান ও জ্যাক লিনটট। খরুচে ছিলেন নাঈম, ওভার প্রতি দিয়েছেন ১০.৩৩ রান করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।