বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত ২০০৬ সালের ৫ ডিসেম্বর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচের পর লাল সবুজের জার্সিতে আর নামেনি বাংলাদেশ। শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টাইগার্সের অনুশীলন ক্যাম্পের ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আবার আলোচনায় এই মাঠ।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পের প্রথম দিন ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। তাকে এক ঝাঁক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় এই মাঠে আন্তর্জাতিক খেলা হওয়া না হওয়া নিয়ে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী তখন, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা না থাকার কথা জানিয়ে বলেছেন, আরও সময় লাগবে।

নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট করতে হলে কিছু ব্যাপার আছে। আইসিসির একটা নিয়ম আছে। তাদের কিছু নীতি আছে। বিশেষ করে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, লজিস্টিকের সুযোগ সুবিধা, হোটেল, বিমানবন্দর এবং তার সঙ্গে জড়িত আরও নানা সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক আর বিপিএল অলমোস্ট সেইম। এটা একটু চ্যালেঞ্জিং, সেদিক বিবেচনায় একটু সময় তো লাগবে।’

২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হয় এই স্টেডিয়ামে। একই বছরের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর আর কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গড়ায়নি এই মাঠে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টেস্টও হয়েছে এই মাঠে। আর ওয়ানডে হয় ৫টি। যেখানে বাংলাদেশ জিতে ৪টিতে।

এই মাঠে আজ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকে সামনে রেখে মূলত এই মাঠ বেছে নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পের জন্য যতটুক প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন ততোটুক ক্রিকেট বোর্ড নিয়েছে।

বিসিবি সিইও বলেন, ‘আপনারা জানেন যে স্টেডিয়াম কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা মিনিস্ট্রি অব স্পোর্টসের আন্ডারে। সেখানে আমাদের কিছু লিমিটিশন রয়েছে। এখানে যে কাজগুলো ইমিডিয়েট করার দরকার ছিল, আমাদের প্রোগ্রামটা রান করার জন্য আমরা সেগুলোই করেছি এবং পর্যাক্রমে আমার মনে হয় যে এটা আমরা মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাথে কথা বলে এটার অন্যান্য বিষয়গুলোকে যতটুকু এটেন্ট করা সম্ভব হয় আমরা করবো।