সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। টানা ৩ সিরিজ জেতায় টাইগার প্রতি দেশবাসীর প্রত্যাশায় ছিল বাড়তি কিছু। কিন্তু শুরুতেই দুর্বল স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা জানিয়ে দেন, এতো আশা করতে নেই। এরপর একের পর এক লজ্জার রেকর্ড জমা করতে থাকে ঝুলিতে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা । ১০০ এর নিচে অলআউট হয়েছে ২ বার। নিজেরাই যেন নিজেদের রেকর্ড ভাঙার মিশনে ব্যস্ত ছিলেন লিটন-সৌম্যরা। সুপার টুয়েলভ থেকে শূন্য হাতে ফিরছে বাংলাদেশ দল। এমন ব্যর্থতার দায়ভার নিতেই হচ্ছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্ব মাহমুদউল্লাহর কাঁধে থাকছে কি – সে প্রশ্ন উঠে গেছে বাংলাদেশ দলের দেশে ফেরার আগেই।
বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে গো-হারা হারের পর ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ মাহমুদউল্লাহকে প্রশ্ন করে, এমন ব্যর্থ মিশনের পর কি টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে সড়ে দাঁড়াবেন? অধিনায়কের পদে ইস্তফা দেবেন? জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেন , ‘না, না, আমি টি ২০ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ভাবছি না। এটা তো আমার হাতে নেই। এ সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)। আমি বিশ্বকাপে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। হয়তো আমার নেতৃত্বে কোনো কিছুর ঘাটতি ছিল। এজন্যই হয়তো ছেলেদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে পারিনি।’ তবে দল হিসেবে বাজে পারফরম্যান্সের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ অকপটেই। বললেন, ‘শ্রীলংকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাদে গোটা টুর্নামেন্টে আমরা খুবই খারাপ খেলেছি। টুর্নামেন্টে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি, তাতে আমি সত্যিই হতাশ। এটা একেবারে অগ্রহণযোগ্য। ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যর্থতার উত্তর খুঁজছি আমি।আমাদের কিসের অভাব ছিল, কিসের ঘাটতি ছিল, কী কী করা উচিত ছিল – এসব নিয়ে ভাবছি। দল হিসাবে এটা খুবই হতাশার। এর উত্তর আমার জানা নেই। আমি উত্তর খুঁজছি। দেখা যাক, দেশে ফেরার পর কী হয়। এই মুহূর্তে গোটা ব্যাপারটা খুবই জটিল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।