অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়েছে ভারত। এটা ভারতের যুবাদের পঞ্চম । এর আগে মোহাম্মদ কাইফ, বিরাট কোহলি, উন্মুক্ত চাঁদ ও পৃথ্বি’শ এর হাত ধরে চারটি শিরোপা জিতেছিল ভারত।

বাংলাদেশ সময় শনিবার রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। ১৯০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট ও ১৪ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ভারতের যুবারা।

যদিও শুরুটা যদিও প্রত্যাশামাফিক হয়নি ভারতের। ৯৭ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসেছিল ৪ উইকেট। সেখান থেকে শেখ রশিদ ও নিশান্ত সিন্ধুর ব্যাটে ভর করে ভারত ফাইনাল জিতে নেয়। রশিদ ৬ চারে ৫০ ও সিন্ধু ৫ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৫০ রান করেন।

ফাইনালে বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতেও কার্যকরী ইনিংস খেলেন ভারতের রাজ বাওয়া। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করেন তিনি।বল হাতে ইংল্যান্ডের জসুয়া বয়ডেন, জেমস সেলস ও থমাস আসপিনওয়াল ২টি করে উইকেট নেন।

তার আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা ইংলিশ যুবাদের এলোমেলো করে দেন ভারতের পেসাররা। ৯১ রানেই ইংল্যান্ডের ৭ উইকেট তুলে নেয় ভারত। সেখান থেকে দলকে ১৮৯ রানের সম্মানজনক স্কোর পাইয়ে দেন জেমস রিউ। ৩.৩ ওভারের মাথায় ১৮ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর তিনি দলের হাল ধরেন। ব্যাট করেন ৪৩.১ ওভার পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে তিনি আরও পাঁচজন সঙ্গীকে হারান। ১৮৪ রানের মাথায় অষ্টম ব্যাটস্যান হিসেবে আউট হন রিউ। যাওয়ার আগে ১১৬ বলে ১২টি চারে ৯৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে যান।

শেষ দিকে ৬৫ বলে ২ চারে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন জেমস সেলস। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রানের ইনিংস খেলেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জর্জ থমাস।বল হাতে ভারতের রাজ বাওয়া ৯.৫ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩১ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। ৯ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ৩৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন রবী কুমার।

ফাইনালে ম্যাচসেরা হন ভারতের রাজ বাওয়া।

 

কলমকথা/সাথী