ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট জিততে গতকালকেই মঞ্চ গড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ৩৭ রানে তুলে নিতে পারে ভারতের ৪ উইকেট। চতুর্থ দিন সকালেও জয়দেব উনাদকাট, ঋষভ পান্ত, অক্ষর প্যাটেলকে ফিরিয়ে ভারতের ওপর চাপটা আরও বাড়াতে পেরেছে।

১৪৫ রানের লক্ষ্যে নামা ভারতীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ৩০ ওভারে ৭ উইকেটে ৭৪ রান। ক্রিজে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (০) ও শ্রেয়াস আইয়ার (১)। ভারতের এখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭১ রান। বাংলাদেশের প্রয়োজন ৫ উইকেট।

মিরাজের প্রথম ওভারে উনাদকাটকে এলবিডাব্লিউর আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিলেও সাফল্য মেলেনি তাতে।

পরের বলে অবশ্য ছয় মেরে জবাব দেন ভারতের এই পেসার। তবে টেলএন্ডারকে বেশিক্ষণ টিকতে দেন সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডাব্লিউ করেই বিদায় দিয়েছেন। তার পরেও বোলার হিসেবে নামা উনাদকাট ১৬ বলে করতে পেরেছেন ১৩ রান।

টেলএন্ডারের ফেরার পর প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার হিসেবে পান্তকে নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ ছিল বাংলাদেশ দলে। তিনি যে পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন, সেটা দেখা গেছে প্রথম ইনিংসেই। এবার অবশ্য তাকে কাঁটা হতে দেননি মিরাজ।

এলবিডাব্লিউতে সাজঘরে পাঠিয়ে ভারতকে আরও কোণঠাসা করে ছেড়েছেন। পান্ত ফেরার আগে করেছেন ৯ রান। একপ্রান্ত নড়বড়ে হয়ে পড়লেও অক্ষর তখনও একপ্রান্ত আগলে খেলছিলেন। ভালো ব্যাটিংয়ে ভয় ছড়াচ্ছিলেন তিনি। ৩৪ রান করা এই ব্যাটারকে মিরাজ বোল্ড করে দিলে পুরোপুরি বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা। এই উইকেট নিয়েই মিরাজ পূরণ করেন মূল্যবান ফাইফার তথা পঞ্চম উইকেট।

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। কয়েক দফা জীবন পাওয়া লিটনের হাফসেঞ্চুরি ও তাসকিনের দায়িত্বশীল ইনিংসে ২৩১ রান করতে পারে। তাতে ১৪৫ রানের লক্ষ্য পায় সফরকারী। অবশ্য এই লক্ষ্যও মিরপুরের পিচে কতটা কার্যকরী সেটি গতকালকেই বাংলাদেশের স্পিনাররা প্রমাণ করে ছেড়েছে। স্পিন আক্রমণে ধসিয়ে দিয়েছে ভারতের টপ অর্ডার।

তৃতীয় দিন বিকালে এক মিরাজের কাছেই পরাস্ত হয়ে ফিরেছেন শুবমান গিল (৭), চেতেশ্বর পূজারা (৬) ও বিরাট কোহলি (১)। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের (২) উইকেটটি নিতে পারেন সাকিব।