মিশে আছে তার রক্তে। না হলে কী আর শিক্ষকের চোখ ফাঁকি দিয়ে, হাফেজি মাদ্রাসার নিয়মবাঁধা জীবনেও তিনি খেলার স্বপ্ন দেখতে পারতেন! ক্রিকেট হৃদয়ে-মননে গভীরভাবে ধারণ করেছেন বলেই মাদ্রাসার শৌচালয়ের পেছনে এক টুকরো ফাঁকা জায়গাকেই বানিয়ে নিয়েছিলেন ২২ গজ। মাদ্রাসায় ছকবাঁধা জীবন থাকলেও বাড়িতে শাসনের শেকলে বাঁধা ছিলেন না। প্রতি শনিবার তাই আব্দুল্লাহ আল মামুনের মনে নেমে আসতো ঈদের আনন্দ। ছুটি পেয়ে সারা দিন পড়ে থাকতেন মাঠে।
হার না মানার দৃঢ় সংকল্পে বিস্ময়কর যাত্রায় আজ তিনি বড় ক্রিকেটার হওয়ার রাজপথে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বকাপ অভিযানের অন্যতম সৈনিক এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। বড় ভাইদের সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী মামুন খেলতে নামলেই দেখাতেন তার জাদু। টেপটেনিস বলে বিশাল বিশাল ছক্কা মেরে আনন্দে ভাসাতেন গ্রামবাসীকে। বড় ভাইরা তখনই বুঝতে পারেন, মামুন কোনও সাধারণ ছেলে নয়, ক্রিকেটের জীবন বেছে নিলে তার সামনে অপেক্ষা করছে ঝলমলে এক ভবিষ্যৎ।
তাদের কথাগুলোয় মামুনের মনে জন্ম নেয় সুপ্ত বাসনা। চাইতেন ক্রিকেটে ভর্তি হতে। কিন্তু পরিবারের শর্ত ছিল, আগে হাফেজ হতে হবে, তারপর ক্রিকেট। ছয় বছরে কোরআন মুখস্থ করার পর ২০১৭ সালে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হওয়া মামুন অনুমতি পান রংপুর ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হওয়ার। সেখান থেকেই ক্রিকেট বলে ক্রিকেটার হয়ে ওঠার মিশন শুরু।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।