ব্যাটিং ধারাবাহিকতা দেখালেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ব্যাট হাতে রান পেলেন আরেকটি ইনিংসটি। তবে আজকের ইনিংসটি বড় হলে হতে পারত বিশেষ কিছু।
৪ ছক্কা হাঁকিয়ে আশরাফুল ছিলেন চিরচেনা মহিমায়। কিন্তু পয়েন্টে যখন ক্যাচ দিয়েছেন তখন তার নামের পাশে রান ৩৫ বলে ৪১। স্কোরবোর্ড স্পষ্ট করছে আশরাফুলের ব্যাটিং ছিল গড়পড়তা। ডট বলে সমারোহ। তবে যে ৪ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। ঢাকা লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শেখ জামালের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৫১। আশরাফুল দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে সৈকত আলীর ব্যাট থেকে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৬৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। তাদের সাজঘরে ফেরার পর ব্যাট হাতে লড়াই করেন নাসির হোসেন ও জিয়াউর। নাসির ২০ ও জিয়াউর ২১ রান করেন। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। ছক্কায় রানের খাতা খুলেছিলেন আশরাফুল।
মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বল দারুণ ফ্লিকে ফাইন লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান তিনি। চতুর্থ ওভারে বাঁহাতি পেসার নাহিদ হাসানকে ছক্কায় উড়ান দুবার। প্রথমটি পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে। পরেরটি লং লেগ দিয়ে। এরপর স্পিনার নাসুমকে সুইপ করে ছক্কা উড়িয়ে মুগ্ধ করেন আশরাফুল। ওই ৪ ছক্কা বাদে ইনিংসে ছিল না প্রাণ। স্ট্রাইক রোটেট করতে সমস্যা হচ্ছিল। শট খেলতে পারছিলেন না। তাতে ডট বল হচ্ছিল। বাড়ছিল চাপ। সেই চাপ কমাতে গিয়ে বাড়তি শট খেলার চেষ্টা করছিলেন। তাতেই তিনি আটকে যান। আরিফুলের বল উইকেট থেকে সরে গিয়ে শট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে তালুবন্দী হন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।