ছেলেদের ক্রিকেটের উল্টোপথ ধরেই হাঁটছে মেয়েদের ক্রিকেট। অন্তত সাম্প্রতিক সময়ের অবস্থা দেখে এমন কথাই লেখা যায়। যেখানে চার-ছক্কার ফরম্যাটে পুরো ম্যাচেও খুব বেশি বাউন্ডারির দেখা যায় না। সেখানে চলমান নারী এশিয়া কাপের যাত্রা ম্যাচেই বাউন্ডারির ফুল ঝরিয়েছে জাহানারারা।

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে বিশাল জয়ের ম্যাচে মাত্র এক উইকেট হারিয়েছে তাঁরা। আর বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে গুনে গুনে ১৪টি। একেই তো বলে আসল টি২০ খেলা। পাওয়ার প্লেতে বড় শটের বাহার দেখিয়েছেন শামীমা ও ফারজানা। তার আগে বল হাতে বাংলাদেশের মেয়েরা থাইল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করেন মাত্র ৮২ রানে।

দারুণ জয় দিয়েই এশিয়া কাপের শুরুটা করল বাংলাদেশে নারী দল। এখন সামনের পথটা একইভাবে গেলেই হয়। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি দিয়ে রাখলেন হুঙ্কার। বললেন, আগে ব্যাট করলেও এমন আক্রমণাত্মক খেলাই খেলতেন তাঁরা, ‘আমাদের সব সময় পরিকল্পনা থাকে আমরা যেন পাওয়ার প্লেটা ব্যবহার করতে পারি।

শামীমা আপু খুব অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। পাশাপাশি পিংকি খুব ভালো সাপোর্ট দিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু এটাই চাই। যে ম্যাচগুলোতে এই ঘাটতি আসে তখন কিন্তু আমরা বড় স্কোর করতে পারি না। কিংবা বড় স্কোর তাড়াও করতে পারি না। এখনও পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয় ভালো একটা শুরু’। ব্যাটারদের মানসিকতা নিয়ে যেটা বললেন, ‘আমরা সব সময় এটা নিয়েই চিন্তা করি। আমাদের মানসিকতা যেন ভালো থাকে।’

শুধু কুড়ি ওভারে যে এমন আগ্রাসী, তাও না। ১০ ওভার হলেও আরও ভালো সংগ্রহ করতে পারতেন মেয়েরা। মূলত আত্মবিশ্বাসের পারদটাই টের পাওয়া গেল নিগারের কথায়, ‘টি২০ ম্যাচ, বিষয়টা হচ্ছে আমরা যদি আগে ব্যাট করতাম তাহলেও কিন্তু আমাদের এই অ্যাপ্রোচেই ব্যাট করতে হতো।