উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুলেছে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে রিজওয়ান ও ইফতেখার আহমেদ ছাড়া আর কেউই লঙ্কান বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি।

পাকিস্তান ইনিংসে তিনজন মাত্র দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন। রিজওয়ান, ইফতেখার ও হারিস। বাকিদের রান ছিল টেলিফোন ডিজিটের মতো। ৫, ০, ৬, ২, ০, ৮, ৪, ৮। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সব উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করতে সক্ষম হয়। লঙ্কান বোলারদের মধ্যে স্পিন অলরাউন্ডার হাসারাঙ্গা ৩টি ও প্রমোদ মাধুশান ৪টি উইকেট লাভ করেন।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি শুরু হয়। ম্যাচটি সরাসরি দেখায় স্টার স্পোর্টস, স্টার স্পোর্টস ১, ডিডি স্পোর্টস, পিটিভি স্পোর্টস, ডিজনি প্লাস হটস্টার। আর বাংলাদেশে দেখায় গাজী টিভি ও নাগরিক টিভি।

লঙ্কানদের দেয়া ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২২ রানে বাবর আজম ও ফখর জামানকে পরপর দুই বলে আউট করেন প্রমোদ মাধুশান। তৃতীয় উইকেটে ইফতেখারকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা চালান রিজওয়ান। দলীয় ৯৩ রানে ইফতেখারকে বিদায় করেন মাধুশান। ম্যাচে এটি ছিল মাধুশানের তৃতীয় উইকেট। এরপর দ্রুতই মোহাম্মদ নওয়াজকে আউট করেন করুণারত্নে।

পাকিস্তানের ইনিংসের ১৭তম ওভারে বল করতে এসে এক ওভারে তিন উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কার জয় নিশ্চিত করেন হাসারাঙ্গা। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রিজওয়ান, তৃতীয় বলে আসিফ আলী ও পঞ্চম বলে খুশদিল শাহকে তুলে নেন হাসারাঙ্গা। রিজওয়ান বিদায়ের আগে ৪৯ বলে ১ ছয় ও ৪ চারে ৫৫ রান করেন। শেষ দিকে হারিস রউফের ৯ বলে ১৩ শুধু রানের ব্যবধানই কমায়।

লঙ্কানদের হয়ে প্রমোদ মাধুশান ৪টি, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩টি, চামিকা করুণারত্নে ২টি ও মহেশ থিকসানা একটি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পাক বোলারদের সামনে দলীয় ৫৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ষষ্ঠ উইকেটে হাসারাঙ্গা ও রাজাপাকশে লঙ্কানদের ম্যাচে ফেরান।

এ দুজন সংগ্রহ করেন ৫৮ রান। দলীয় ১১৬ রানে হাসারাঙ্গা ২১ বলে ১ চার ও ৫ ছয়ে ৩৬ রান করেন। কিন্তু অপরপ্রান্তে থেকে যান রাজাপাকশে। শেষ দিকে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান রাজাপাকশে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ১৭০ রান সংগ্রহ করে। রাজাপাকশে ৪৫ বলে ৩ ছয় ও ৬ চারে ৭১ রান ও চামিকা করুণারত্নে ১৪ বলে ১ ছয়ে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ৩টি, নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতেখার আহমেদ একটি করে উইকেট লাভ করেন।

পাকিস্তান একাদশ:
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফাখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, আসিফ আলি, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ হাসনাইন।

শ্রীলঙ্কা একাদশ:
পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), ধনঞ্জয় ডি সিলভা, দানুসকা গুনাথিলাকা, ভানুকা রাপাকসে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, মহেশ থিকসানা, প্রমোদ মাধুশান ও দিলশান মাধুশাঙ্কা।