আইপিএল ২০২২ এর মেগা নিলামে শনিবার সাকিব আল হাসানকে নেয়নি কোনো দল।

২ কোটি ভিত্তি মূল্য থাকলেও তার জন্য দর হাঁকায়নি কেউ। ফলে বিশ্বসেরা অন্যতম অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অবিক্রীত থেকে যান।

অথচ বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকায় ধারণা করা হচ্ছিল, নিলামে সাকিবকে নিয়ে কাড়াকাড়ি হবে। কিন্তু গতকাল নিলামে নাম উচ্চারণ হলেও ফ্রাঞ্চাইজিরা নির্লিপ্ত থেকেছেন সে সময়।

সাকিবকে কেউ না কেনার কারণ কী? – এ প্রশ্ন উঠতেই পারে।

ধারণা করা হচ্ছে – সম্ভবত পুরো আইপিএলে সাকিবকে পাওয়া নিয়ে সংশয়ই সাকিবের অবিক্রিত থেকে যাওয়ার মূল কারণ।

আইপিএলের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। আর আইপিএলের শেষ দিকে ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা।

গুরুত্বপূর্ণ দুই সময়ে সাকিব জাতীয় দলের খেলায় ব্যস্ত থাকবেন বলেই হয়তো তাকে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে মে মাসে। আর সেই সিরিজটি খেলবেন বলে আগেই নিশ্চিত করেছেন সাকিব। সে হিসেবে ৮ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সাকিবকে পাবে না আইপিএল মঞ্চ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস দুদিন আগে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন।

আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডের সিরিজ হবে ১৮ থেকে ২৩ মার্চ। আর দিনক্ষণ ধার্য না করা হলেও ২৭ মার্চ থেকে আইপিএল শুরু হবে বলে মোটামুটি নিশ্চিত। অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে ভারতে এসে কোয়ারেন্টিন পর্ব পালন করে বায়োবাবলে প্রবেশ করতে সপ্তাহ পেরিয়ে যাবে সাকিব-মোস্তাফিজদের।

সে হিসেবে আইপিএল শুরুর দিকে ম্যাচগুলোতে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। সাকিবকে যদি অনেক ম্যাচে না-ই পাওয়া যায়, তাহলে তার পেছনে ২ কোটির বেশি রুপি বিনিয়োগ করতে রাজি হয়নি কেউ।

সাকিবের অবিক্রিত থেকে যাওয়ার কারণ হয়তো এগুলোই।

তবে আরো একটি কারণ বিদ্যমান। বর্তমানে বিপিএলে ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স করলেও আইপিএলের গত আসরে আলো ছড়াতে পারেননি সাকিব।

খুব আগ্রহ দেখিয়ে ৩ কোটি ২০ লাখে তাকে নিয়েছিল কলকাতা, কিন্তু দলটিকে তিনি প্রতিদান দিতে পারেননি সেভাবে। ৮ ম্যাচে রান করেন ৪৭, উইকেট পেয়েছেন ৪টি।

গত আসরে সাকিবের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের কারণে সাকিবে আগ্রহ দেখায়নি কেকেআর শিবির।

 

কলমকথা/বিসুলতানা