গত বছর প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার ঠিক আগে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন কুইন্টন ডি কক। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে এই সিদ্ধান্ত নেন।
টেস্টকে বিদায়ের ছয় মাস পার হয়ে গেলেও টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার কারণে খুব একটা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেননি। তারপরও লাল বলের ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ায় অনুতপ্ত নন তিনি। টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর পর প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে এসব জানালেন ডি কক,
এটা আমার ব্যস্ততা কমাতে পারেনি, অন্তত এই বছর। কয়েকটি লিগে খেলেছি কিন্তু সেটা আমার নিজের সিদ্ধান্তের পরিণতি। আমি এটা করতে পেরে খুশি। এটা এখনও একটা ত্যাগ স্বীকার। কিন্তু আমি ধীরে ধীরে একটি বয়সের দিকে আগাচ্ছি, যেখানে আমি আমার ক্যারিয়ারে থাকতে চেয়েছিলাম।
যতদিন আমি আপন গতিতে এটা করতে পারবো, আমি খুশি। পিতৃত্বকালীন ছুটির পর ডি কক দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ফেরেন জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের আগে দুই মাস সময় পেলেও তারপর থেকে মাঠেই থাকতে হচ্ছে।
আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলেছেন। ভারতের বিপক্ষে ছিল ম্যাচ। আর এখন ইংল্যান্ডে। এরপর দ্য হান্ড্রেড ও সিপিএলেও খেলবেন। আছে ভারতে সাদা বলের আরেকটি সিরিজ এবং পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। খেলার পর খেলা।
নিজের জন্য সময় বের করার অবকাশ নেই। ডি কক স্বীকার করলেন, এখন তিন ফরম্যাটে খেলা সত্যিই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তিনি বললেন, ‘খেলোয়াড়দের জন্য কঠিন হতে চলেছে, তিন ফরম্যাটে অনেক খেলা। বছরে অনেক বেশি খেলা হচ্ছে।
খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তারা যদি মনে করে এটা (তিন ফরম্যাটে খেলা) করতে পারবে, তাহলে আমি খুশি। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্ত নিজেদের হাতে। আমি যেখানে আছি, খুশি। অনেকের মতে ওয়ানডে ক্রিকেটের ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটতে চলেছে।
কিন্তু এই ফরম্যাটে ডি ককের আস্থা আছে। তার আশা, দক্ষিণ আফ্রিকা ৫০ ওভারের ক্রিকেট আরও বেশি খেলবে, ‘আমি বলতে চাই আমাদের এই ফরম্যাটে আরও খেলা প্রয়োজন।
ওয়ানডে ভালো হচ্ছে, ব্যাটে-বলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুব। এটা ভবিষ্যৎ আছে এবং আমাদের অনেকে এখনও ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিততে চায়। এই ফরম্যাটে খেলার অনেক কিছু আছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।