ফুটবলারদের ভাড়া বাসে অনুশীলন ও জিমে যাতায়াতের জন্য আর ঝক্কি পোহাতে হবে না। খেলোয়াড়দের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) একটি বাস উপহার দিয়েছে উয়েফা। প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা এই বাসটিতে উয়েফার অর্থায়ন ৪৩ হাজার ইউরো।
এছাড়াও আরো ১০ লাখ টাকা দিয়েছে বাফুফে। ৪০ আসনের এই বাসটি নন-এসি হলেও, যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত খেলোয়াড়রা।
নীল রঙ্গের চকচকে নতুন একটি বাস। ৪০ আসন বিশিষ্ট নতুন এই বাসের সামনে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়দের চোখে মুখে উচ্ছ্বাস! এই আনন্দ, ভাড়া করা বাসের বদলে নিজস্ব বাসে খেলোয়াড়দের যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়ার। নতুন এই বাসের মাধ্যমে এবার দূর হতে যাচ্ছে খেলোয়াড়দের অনুশীলন ও জিমে যাতায়াতে ভাড়া করা বাসের ঝক্কি-ঝামেলা।
উয়েফার অবকাঠামো সহায়তা প্রকল্প ২০২১-২২ এর আওতায় বাফুফেকে এই বাস উপহার দিয়েছে উয়েফা। বাংলাদেশ উয়েফার সদস্য না হলেও, এএফসির মাধ্যমে এই বাসটি পেয়েছে বাফুফে।
প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বাসটিতে উয়েফার অর্থায়ন ৪৩ হাজার ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪০ লাখ টাকার সমপরিমাণ। এছাড়াও, বাফুফের তহবিল থেকে দেয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
উয়েফার দেওয়া এই বাসটির সুবিধা ভোগ করতে পারবে জাতীয় দলের ফুটবলারসহ, নারী দল, বাফুফে এলিট একাডেমির খেলোয়াড়রা। অনুশীলন ও ভ্রমণ জটিলতা দূর হওয়ায় খেলোয়াড়দের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও, নন-এসি বাস হওয়ায় নেই কোনো আক্ষেপ।
বাসটির উদ্বোধন করেন বাফুফের উর্ধ্বতন কর্তারা। উয়েফার এই উপহারে ফুটবলারদের কার্যক্রমে আরো গতি আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস কেনা হলো না তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে বাফুফে।
বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘বাস ক্রয়ের জন্য যে অর্থ পাওয়া গেছে তা দিয়ে এসি বাস কিনলে তুলনামূলক ছোট আকারের কিনতে হতো।
এতে ফুটবলারদের সঙ্গে কোচিং স্টাফরা যাতায়াত করতে পারতেন না। তাদেরকে আলাদা বাসে যেতে হতো। সবকিছু বিবেচনা করেই নন এসি এবং বড় বাস নেওয়া হয়েছে।’
খেলোয়াড়রা সিডিউল মাফিক বাসটি অনুশীলন ও জিমে যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
কলমকথা/চন্দনা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।