ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল লিভারপুলের শিবিরে অন্যতম দুই সেরা ফুটবলার মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানে। দুইজনেই মুসলমান। এই রমজান মাসে রোজা রেখেই দলের হয়ে মাঠে নামছিলেন তারা। করছিলেন অনুশীলনও।
কিন্তু দলের অনুশীলনের সময় বিকেল বেলায় হওয়াতে এই দুই ফুটবলারের জন্য রোজা রেখে ট্রেনিং চালিয়ে যাওয়া ভীষণ কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। এই দুই ফুটবলারের সুবিধার্থে লিভারপুল নিজেদের চালিয়ে যাওয়া নিয়মে পরিবর্তন এনেছে প্রখ্যাত এই ক্লাবটি। দলের মুসলিম ফুটবলারদের জন্য রমজানে সকালে অনুশীলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অলরেডরা।
রমজানে রোজা রেখে বিকালে অনুশীলন করলে বিশ্রামের সুযোগ থাকে না বলে কষ্টকর হয়ে পড়ে মুসলিম ফুটবলারদের জন্য। বরং সকালে হলে বিশ্রামের সুযোগ মেলে। এই বিষয়টা লিভারপুল অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা করেন সালাহ-মানেরা। অধিনায়কও বিষয়টি আলোচনা করে রাজি করান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। যারফলে আর বিকেল নয় সকালে অনুশীলনের সময় নির্ধারণ করেছে লিভারপুল।
সম্প্রতি বিন স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘খেলা আর অনুশীলন করে রোজাটা চালানো কঠিনই বেশ। তবে রোজা শুরুর আগে আমরা এ নিয়ে অধিনায়কের সঙ্গে আলাপ করেছি। সকালে অনুশীলনটা হলে বাসায় গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রামের সুযোগ মেলে, তবে বিকেলে অনুশীলন হলে তার সুযোগ আর থাকে না। জর্ডান বিষয়টা গিয়ে কোচকে বোঝায়, আর কোচ তাতে রাজি হন। তাতে অবশ্য আমাদের সেরাটা ঢেলে দিতে সুবিধাই হচ্ছে বলে আমার মনে হয়।’
লিভারপুল কেবল অনুশীলন সুবিধা নয়, মুসলিম ফুটবলারদের যেন ম্যাচ ডের দিনেও রোজা রাখতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শের ব্যবস্থা রেখেছে ফুটবলারদের জন্য।
এ বিষয়ে মানে আরও যোগ করেন, ‘কাজটা কঠিন, তবে ম্যাচের দিনটা তো সবসময়ই স্পেশাল! রোজা রেখে খেলার কাজটা কঠিন। তবে লিভারপুল আমাদের কাজটা সহজ করে দিতে চায় সবসময়ই। রোজা নিয়ে, বিশেষ করে ম্যাচের দিনের নির্দেশনা নিয়ে আমরা আমাদের পুষ্টিবিদ মোনার সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। সে-ই মূলত বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আমাদের কাজটা সহজ করে দেয়, যেন আমরা ভালোভাবে রোজা রাখতে পারি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।