চেনা আঙিনায় বেশিরভাগ সময় বড্ড অচেনা হয়ে রইল পিএসজি। ম্যাচ জুড়ে দাপট দেখাল বায়ার্ন মিউনিখ। দারুণ জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল ইউলিয়ান নাগেলসমানের দল।
প্যারিসে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপের মতো ত্রয়ীকে নিয়েও বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে হার বরণ করল পিএসজি। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেছেন কিংসলে কোমান।
চলতি আসরে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল বায়ার্ন। গ্রুপ পর্বে ছয় ম্যাচের সবগুলি জিতেছিল তারা। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের হারিয়ে খোঁজা পিএসজি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ পেল।
শুরু থেকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। যদিও প্রথম উল্লেখযোগ্য পায় তারা ৩০তম মিনিটে। কোমানের ক্রসে দূরের পোস্টে এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের হেড লক্ষ্যে থাকেনি।
প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি বায়ার্ন পায় ৪৩তম মিনিটে। জসুয়া কিমিখের জোরাল নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। বিরতির আগে বক্সের সামনে থেকে লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক প্রতিহত হয় রক্ষণে। প্রথমার্ধে গোলের জন্য এই একটি শটই কেবল নিতে পারে পিএসজি। যেখানে এই সময়ে বায়ার্নের ১০ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে গোলটি পায় বায়ার্ন। আলফুঁস ডেভিসের ক্রসে ডি-বক্সে কোমানের ভলি ঠেকানোর মতোই ছিল, ঝাঁপিয়ে পড়া দোন্নারুম্মার হাত ছুঁয়ে বল জালে জড়ায়। গোল হজমের একটু পর কার্লোস সলেরকে তুলে কিলিয়ান এমবাপেকে নামান পিএসজি কোচ। চোটের কারণে দলের সবশেষ তিন ম্যাচে খেলতে পারেননি ফরাসি তারকা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।