‘লিও যদি বলে তোমরা যুদ্ধে নেমে যাও, তাহলে আমরা যুদ্ধে নেমে যেতেও রাজি’ – কথাটা আর্জেন্টিনা মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলের।
‘আমরা একটা সিংহের দল, যারা মেসির জন্য লড়াই করি’ – এই উক্তি আবার মেসির আরেক আর্জেন্টাইন সতীর্থ এমিলিয়ানো মার্টিনেজের।
কথাগুলো যে নেহায়েত কথার কথা নয়, তার প্রমাণ হরহামেশাই মেলে আর্জেন্টিনার ম্যাচে। মেসির গায়ে ফুলের টোকা লাগার আগেই সদলবলে হাজির হয় আর্জেন্টিনা দল। সে দৃশ্যের দেখা মিলেছে আজও। মেসি ফাউলের শিকার হতেই রীতিমতো তেড়েফুঁড়ে হাজির আর্জেন্টিনার গোটা আটেক খেলোয়াড়।
আরও পড়ুন-
আজ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৮০তম অবস্থানে থাকা হন্ডুরাসের মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচের শুরু থেকেই আলবিসেলেস্তেরা ছড়ি ঘুরিয়েছে বেশ। তার মাসুলটাও গুণতে হয়েছে বৈকি! পুরো ম্যাচে ফাউল হজম করতে হয়েছে ১২টা।
আরও পড়ুন-
তারই একটা ৩৮ মিনিটে করা হয়েছিল মেসিকে। সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, পুরো আর্জেন্টিনা দলই রীতিমতো তেড়ে এসেছে ফাউল করা দেইবি ফ্লোরেসের দিকে! সে ফাউল অবশ্য গুরুতর ছিল না, মেসি উঠে দাঁড়িয়েছেন, দৌড়েছেন একটু পরেই। করেছেন জোড়া গোল। তাতে ভর করে আর্জেন্টিনাও তাদের অপরাজেয় যাত্রাটা উন্নীত করেছে ৩৪ ম্যাচে।
বিশ্বকাপ চলে আসছে। আর মাত্র ৫৭ দিন পরই বিশ্বকাপ। এখন কোনো চোট মানেই ফুটবলের মহাযজ্ঞে খেলা নিয়েই শঙ্কা সৃষ্টি হওয়া। মেসির ফাউলের শিকার হওয়া তাই আর্জেন্টিনার জন্য সাক্ষাৎ বিপদবার্তা। সে কারণেই হয়তো, তাকে ফাউল করলেই রীতিমতো যুদ্ধে নেমে যায় পুরো দল, যার একটা নমুনা দেখা গেল আজ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।