মহম্মদপুর প্রতিনিধি, মাগুরাঃ মাগুরার মহম্মদপুরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গ্রামীণ হারানো ঐতিহ্যবাহী “দাঁড়িয়াবান্ধা” খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “কাঁচাপাকা ঘোন্ট” সাধারণত ছোট বেলার স্মৃতি বিজড়িত এই খেলায় এমনই শব্দ ব্যবহার করত সবাই। কোথাও কোথাও এটাকে আঞ্চলিক ভাষায় দাড়েবান্ধা বলে থাকে।
১৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মাগুরার মহম্মদপুরে গ্রামীণ ঐতিহ্যের এই খেলার আয়োজন করা হয়। বর্তমান প্রজন্মের কাছে অপরিচিত গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী “দাড়িয়াবান্ধা” খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে উপজেলার বাবুখালী আফতাব উদ্দিন স্কুল মাঠে।
দুপুরবেলা থেকেই চার দলীয় এ খেলা শুরু হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। সকাল থেকেই লোকসমাগম হতে থাকে।
এবিষয়ে স্থানীয় কয়েকজনের নিকট থেকে জানা যায়, তাঁরা দীর্ঘদিন পর এই খেলা উপভোগ করতে এসেছে।তাঁরা সবাই অত্যন্ত খুশি।আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার সর্বসাধারণ। অনেক দিন পরে হারতে বসা এ খেলা দেখে ষাটোর্ধ বয়সী বৃদ্ধ লোকজনের মধ্যে আনন্দ লক্ষ করা গেছে। নতুন প্রজন্মের অনেকেই এ খেলা দেখে অবাক হয়েছে।তারাও চরম বিনোদন করছে।
এলাকাবাসী জানান, বাবুখালী আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ রবিউল আলমের সহধর্মিণী ও মাগুরা সদর হাসপাতালের সাবেক নার্সিং কর্মকর্তা মঞ্জুয়ারা বেগম এ খেলার আয়োজন করেন।
খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ খেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বাবুখালী ইউপি চেয়ারম্যান মীর মো সাজ্জাদ আলী। এসময় উপস্থিত ছিলেন তিতাসের সাবেক প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ রতন আলী খান সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমূখ।
এ খেলায় দর্শকের মন মাতানো ধারা বিবরনী দেন বাংলাদেশ বেতার ও টিভির ধারাভাষ্যকার প্রদ্যুৎ কুমার রায়।
এক দশক আগেও গ্রামের পথে-ঘাটে-মাঠে কিংবা শহরতলির সরু রাস্তায় দেখা যেত কিশোর কিশোরীরদল এ খেলায় মেতে উঠেছে। গ্রামে এই খেলা জমে ওঠার উপযুক্ত সময় ছিল শীতও বসন্ত কাল। বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীণ এই জনপ্রিয় খেলা।
মাগুরা প্রতিনিধি
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।