কোপা আমেরিকা জয় লিওনেল মেসির জন্য শিরোপা জয়ের চেয়ে বিশেষ কিছু। কারণ এ শিরোপা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শিরোপা খরা ঘুচালেন মেসি। এর সঙ্গে অপবাদও ঘুচালেন। আর্জেন্টাইনদের ২৮ বছরের হাহাকার থামালেন। ঐতিহাসিক সেই জয়ে মেসির সতীর্থ ছিলেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার আলেহান্দ্রো গোমেস। যদিও ফাইনালে মাঠে নামা হয়নি তার। তবে দলের সঙ্গে থাকায় কাছ থেকে সবকিছুর স্বাক্ষী ছিলেন তিনি। বর্তমানে সেভিয়ার হয়ে খেলছেন ৩৩ বছর বয়সি এই ফুটবলার।
সম্প্রতি কোপা আমেরিকা জয়ের সেই সুখস্মৃতি রোমন্থন করলেন গোমেজ। জানালেন, ব্রাজিলের বিপক্ষে ফাইনালের আগের দিন দলকে উজ্জীবিত রাখতে মেসি যখন কথা বলছিলেন তখন তিনি অঝরে কাঁদছিলেন। সম্প্রতি আর্জেন্টিনার দৈনিক লা নাসিওনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক মেসি এবং ফাইনালের আগে সতীর্থদের উদ্দেশে তার বক্তব্য নিয়ে কথা বলেন আর্জেন্টিনার এই মিডফিল্ডার। বললেন, ‘ফাইনালের ঠিক আগে মেসি কথাগুলো বলেছিল। সত্যি বলতে সে ঠিক কী বলেছিল, তা আমার হুবহু মনে নেই। কারণ সেই সময় আমি কাঁদছিলাম। মেসি বলছিল নিজেদের প্রচেষ্টা, পরিবার নিয়ে।
তখন শিশুদের মতো আমি কাঁদছিলাম। বাচ্চারা কাঁদলে যেভাবে গাল বেয়ে অশ্রু ঝরে, তেমনটাই ঝরছিল আমার। মেসির প্রশংসায় গোমেজ বলেন, ‘লিও আমাদের সবার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এবং সাদামাটা মানুষ। আমি নিশ্চিত করতে পারি, দলে সেই একমাত্র ব্যক্তি ও সতীর্থ, যার সঙ্গে সবার সম্পর্ক সবচাইতে ভালো। তবে তার নাম মেসি হওয়ায় অনেকেই মনে করে, সে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। আসলে মেসি আদর্শ এক নেতা, সার্বিক বিচারেই সে একজন অধিনায়ক।
সবাই তাকে সবসময় দিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করতে চায়। তারা চায়, সে যেন মাঠে জোরে কথা বলে ও লড়াই করে। কিন্তু মেসি এমন নয়। তবে বন্ধ ঘরে এমনটা করার দরকার হলে সে তা করত। মেসির একটা গুণ চমৎকার। মেসি কখনোই কোনো বিষয় জনসম্মুখে আনতে চায় না। কখনও তার রাগ হলে বা কাউকে কিছু বলার দরকার হলে সে বলবে, কিন্তু সেটা নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। মেসি তা বাইরে প্রকাশ করে না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।