নারী বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে ৯ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল। এ এক রোমাঞ্চকর জয়। এদিন নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়ে ইতিহাসকে আরও চাঙ্গা করেছেন বাঘিনীরা ।
সোমবার ইতিহাস গড়া দিনে শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে বাংলাদেশ। এর আগে বাংলাদেশ নারী দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই, ৯ উইকেটে ২১১ রান।
সেই রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাওয়ার ম্যাচে আজ আরেকটি রেকর্ড গড়লেন বাংলাদেশি টপঅর্ডার ফারজানা হক। নাসরা সান্ধুর বলে আউট হওয়ার আগে ৭১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেললেন তিনি।
নারী বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ব্যাট হাসছে ফারজানার। আগের ম্যাচে দলের আর কেউ রান না পেলেও ঠিকই ফিফটি হাঁকান ফারজানা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেদিন ওপেনিংয়ে নেমে ৬৩ বলে এক বাউন্ডারিতে ৫২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি।
আজ হ্যামিল্টনে অবশ্য ওয়ানডাউনে নামেন। ১১৫ বলে ৫ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৭১ রান করেন ফারজানা। ফলে নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটির রেকর্ড গড়লেন তিনি।
সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেও শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক রানআউট হয়ে মাত্র ৮ রানে শেষ হয়ে যায় তার ইনিংস।
এর পরও বাংলাদেশ ক্রিকেটে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ফারজানা। কারণ বাংলাদেশের হয়ে নারী বিশ্বকাপে প্রথম হাফসেঞ্চুরিয়ান তিনিই।
এখন দেখার বিষয়, প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হিসেবেও ইতিহাসে ঠাঁই নিতে পারেন কিনা ফারজানা।
প্রসঙ্গত, আরো একটি রেকর্ড জ্বলজ্বল করছে ফারজানার। তার আগে বাংলাদেশের পক্ষে কেউই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক হাজার করতে পারেনি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৭২ ম্যাচে ১৯ গড়ে ১০৬৪ রান এখন ফারজানার। এই ফরম্যাটের ক্যারিয়ারে ১টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরি আছে তার। এই তালিকায় ফারজানার পরই আছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ৫৩ ম্যাচে ৮৬১ রান সুলতানার।
ওয়ানডেতে ৪৪ ম্যাচে ৯৭২ রান রুমানা আহমেদের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।