শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর থেকে প্রাণঘাীত করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আবারও শুরু হচ্ছে লকডাউন। এই কঠোর লকডাউন চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত। এবার সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসহ সারাদেশে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
বুধবার রাতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ২৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ১৪ দিনের কঠোরতম বিধিনিষেধ। এই ইস্যুতে গুজবে কান দেবেন না। বিধিনিষেধ শিথিলতার মেয়াদ বাড়ছে না। ঈদের পরদিন বিধিনিষেধ শুরু হয়ে চলবে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত। ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকার ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিল করায় সব শ্রেণির মানুষ সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পরেছেন।
পশুর হাটগুলোতে ভালোভাবে কোরবানির পশু কিনতে পেরেছেন। যারা ঈদের আগে ঢাকা এসেছিলেন তারাও সুন্দর পরিবেশে ঈদের পরদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এরপর দিন ২৩ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ১৪ দিন যদি আমরা বিধিনিষেধ মানি তাহলে সংক্রমণের চেইনটা ভাঙতে পারবো। এজন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকারের বিধিনিষেধ মানতে হবে।
এদিকে, ২৩ জুলাই (শুক্রবার) ভোর ৬টা থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের বিষয় সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মিল-কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।