মৃত্যুর আগে কলেজ শিক্ষার্থী মোশারাত জাহান মুনিয়া অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আদালতে দাখিল করা মুনিয়ার মেডিকেল রিপোর্টে উঠে এসেছে এমন তথ্য। ১৬ আগস্ট আদালতে দাখিল করা মেডিক্যাল রিপোর্টে দেখা যায়, মুনিয়া দুই থেকে তিন সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
এদিকে আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলা খারিজের পর বসুন্ধরার গ্রুপের এমডিসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষণের মামলা করেছেন মুনিয়ার বোন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর শুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় কলেজছাত্রী মোশারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্নহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন। মুনিয়া কিভাবে মারা গেলো, তা নিশ্চিতে অপেক্ষা করা হয় মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য।
ডিএনএসহ আনুষাঙ্গিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয় মেডিক্যাল রিপোর্টে। এসব রিপোর্ট আসার আগেই ১৮ আগস্ট আনভীরকে খালাস দেন আদালত।
মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এবার আনভীরসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা ও ধর্ষণ মামলা করেছেন মুনিয়ার বড় বোন।
মামলার বাদি ও মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান বলেন, আসামি সায়েম সোবাহান আনভীরসহ আটজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেছি। বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হয়ে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত দিয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।