লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) গণতন্ত্র সূচক ২০২১ প্রকাশ করেছে। এই সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত এই সূচক প্রকাশ করছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট।এবার পাঁচটি মানদণ্ড অনুসরণ করে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো হলো নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, ফাংশনিং অব গভর্নমেন্ট বা সরকার পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সিভিল লিবার্টিস বা নাগরিক অধিকার।
বিভিন্ন দেশকে চার ধরনের শাসনব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র শাসনব্যবস্থা এবং স্বৈরশাসন।
২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। তালিকায় এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫। ২০২০ সালে ছিল ৭৬। এ ছাড়া ২০১৯ সালে ৮০, ২০১৮ সালে ৮৮, ২০১৭ সালে ৯২ এবং ২০১৬ সালে ৮৪ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ।
তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত আছে ৪৬ নম্বরে, শ্রীলংকা ৬৭, ভুটান ৮১, নেপাল ১০১ ও পাকিস্তান ১০৪ নম্বরে।
ইআইইউ বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বের মাত্র ৪৫.৭ শতাংশ মানুষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অধীনে ছিল। ২০২০ সালে সংখ্যাটা ছিল ৪৯.৪ শতাংশ। অর্থাৎ গণতন্ত্রের অবস্থা আরও দুর্বল হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। অন্যদিকে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার প্রতি সমর্থন বাড়ছে। সূচকে সবার উপরে আছে নরওয়ে। জার্মানি আছে ১৫ নম্বরে। আর সবশেষে আছে উত্তর কোরিয়া (১৬৫), মিয়ানমার (১৬৬) ও আফগানিস্তান (১৬৭)।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।