তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এখন জুন থেকে জুলাই গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। প্রত্যেকে তিনটি করে গাছ লাগাবেন। যেখানে জায়গা আছে সেখানেই গাছ লাগাতে হবে। আর কেউ যাতে অকারণে গাছ না কাটে সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। একটি করে ফলদ, বনজ ঔষধি গাছ লাগাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটরিয়ামে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের উপকারভোগী এবং বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, সহব্যবস্থাপনায় বনসম্পদ বৃদ্ধির পর সেই টাকার লভ্যাংশ সদস্যদের মাঝে ভাগ করে দেওয়ার এ পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। যখন আমরা প্রথমবার সরকার গঠন করি তখন হাতির আক্রমণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে সহায়তার এ পদ্ধতি প্রথম চালু করি। বন সহব্যবস্থাপনা কমিটিও তখন বিস্তৃত করা হয়। আজ সেটার সুফল আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষ পাচ্ছে জেনে খুব খুশি লাগছে।
দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ-আল-মামুনের সভাপতিত্বে এবং বন রেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান ও আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বন্যহাতির আক্রমণে নিহত একটি পরিবারকে তিন লাখ টাকা, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ২৭ জনকে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং সুফল প্রকল্পের এফসিভির ৩৭৭ সদস্যকে মোট ৯৫ লাখ ৪০০ টাকার চেক দেওয়া হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।